Views Bangladesh Logo

ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ থাকায় আটকে আছে ভারতগামী পণ্যবাহী আফগান ট্রাক

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির কারণে ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে আফগানিস্তান থেকে ভারতে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে আটারি সীমান্তে ১২টি আফগান পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।

আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রধানত শুকনো ফল, বিভিন্ন মশলা এবং কাঠবাদাম (আমণ্ড) আমদানি করা হয়। বিশেষ করে কাঠবাদামের বেশিরভাগই আসে আফগানিস্তান থেকে। স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কাঠবাদামের দাম কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ১,০০০ টাকায় পৌঁছেছে। পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় পেস্তা ও আখরোটের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভারতের পাশাপাশি আফগানিস্তানের বাজারেও প্রভাব ফেলছে।

এমন পরিস্থিতিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাবুল ড্রাই ফ্রুটস এক্সপোর্টার্স ইউনিয়নের মুখপাত্র খলিদুর রহমানি। তিনি বলেন, ‘এই সীমান্ত বন্ধ করে রাখলে টাটকা এবং শুকনো ফল ভারতে পাঠানো যাবে না। সীমান্ত বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অন্তত প্রবেশের অনুমতি দেয়া হোক।‘

এর আগে গত ৯ মে সীমান্ত সাময়িকভাবে খুলে দেয়া হলে ১৬২টি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করতে পারে, যার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়। কিন্তু এরপর সীমান্ত আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। ভারত সরকার বিকল্প রুট হিসেবে ওয়াঘা-চাবাহার স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন চালুর পরিকল্পনা করলেও ইরানে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এই পরিকল্পনা এখন অনিশ্চিত। ফলে রহমানিসহ আফগান ব্যবসায়ীরা সড়কপথে ট্রাক প্রবেশের সুযোগ চাইছেন।

এদিকে ফলের মৌসুম কাছাকাছি চলে এসেছে। এই সময় আফগানিস্তানে বিভিন্ন ধরনের ফল উৎপন্ন হয়, যার বেশিরভাগই ভারতে রপ্তানি করা হয়। আফগানিস্তানের চেম্বার অফ এগ্রিকালচারের প্রধান উমিদ হায়দারি বলেন, ‘বিকল্প রুট দ্রুত চালু না হলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।‘

ফল ব্যবসায়ী মেহবুল্লাহ মোহম্মদি জানান, ভারতে আফগান শুকনো ফলের, বিশেষ করে চিলগোজা (চিনেবাদাম) এবং আমণ্ডের (কাঠবাদাম) প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এই বাদামগুলো ট্রাকে বস্তাবন্দি অবস্থায় আটকে আছে। দুই দেশের আকাশপথও বন্ধ থাকায় ভারত সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আফগান ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হবে।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ