Views Bangladesh Logo

জাকসুর ভোট গণনা শেষ

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে এখনো ফল ঘোষণা বাকি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান দুপুরে জানান, গণনার কাজ শেষ হয়েছে, এখন ফল ঘোষণা প্রস্তুতি চলছে। আশা করা হচ্ছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। এর আগে নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী দুপুর ২টার মধ্যে ফল প্রকাশের আশা করেছিলেন।

ভোট গণনা বিলম্বের কারণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ওএমআর মেশিনের বদলে হাতে গণনা করা হয়েছে। প্রায় ৬৫০ জন প্রার্থীর ভোট যাচাই করতে হওয়ায় সময় বেশি লেগেছে। এছাড়া শুক্রবার একজন শিক্ষক মৃত্যুবরণ করায় শোকের কারণে কিছু সময়ের জন্য ভোট গণনা বন্ধ ছিল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২১টি হলে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটের আগের দিন রাতে ওএমআর মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে কমিশন হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। এ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বাম সমর্থিত কয়েকটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। মোট আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটি প্যানেল বর্জন করলেও তিনটি প্যানেলের ১১১ জন প্রার্থী ভোটে ছিলেন।

ভোটের দিন বিকেলে ছাত্রদল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। পরে বাম-সমর্থিত চারটি প্যানেলও বর্জনের ঘোষণা দেয়। একই দিনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের তিন শিক্ষকও ভোট বর্জন করেন।

এদিকে শুক্রবার সকালে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাম্পাসে শোকের আবহ নেমে আসে। তবে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ধীরগতির পেছনে শিক্ষক রাজনীতি ও গ্রুপিংও ভূমিকা রেখেছে। ভোট গণনা প্রায় তিন ঘণ্টা স্থগিত থাকার পর রাতে পুনরায় শুরু হয়।

রাত ৯টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তার অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে নানা অনিয়ম হয়েছে, যা প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার মতামত কমিশন গ্রহণ না করায় দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’

ক্যাম্পাসে গুঞ্জন উঠেছে, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এই পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করছে। অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনী অস্থিরতাকে ঘিরে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকরা সুযোগ নিতে চাইছেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ