বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শুক্রবার বিকেল ৫টায় ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
অনন্যা প্রকাশের সিইও মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ অক্টোবর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সন্ধ্যার পর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখেন। এর আগে মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও কবি কাজী সোকর আমিন জানিয়েছিলেন, তিনি তখন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং সেদিনই তার হৃদ্যন্ত্রে দুটি স্টেন্ট স্থাপন করা হয়।
১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তার পিতা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম এবং মাতা রাবেয়া খাতুন। তিনি ১৯৬৬ সালে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং এমসি কলেজ, সিলেট থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ডব্লিউ.বি. ইয়েটসের কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) অধ্যাপনা করেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে থাকা না থাকার গল্প, কাচভাঙা রাতের গল্প, অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প, আধখানা মানুষ, দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন এবং নান্দনতত্ত্ব।
বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে