বিএনপি ক্ষমতায় এলে সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ ফিরিয়ে আনা হবে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দল ক্ষমতায় এলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্যটি আবারও পুনর্বহাল করা হবে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুয়ত গ্র্যান্ড কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আপনারা আজ যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আয়োজন করেছেন এবং যেভাবে মনোযোগ দিয়ে সব বক্তব্য শুনছেন, আমি সত্যিই মুগ্ধ। এই শৃঙ্খলা, এই শান্তিপূর্ণ মনোভাব- আমি জানি আপনাদের হৃদয়ে কী আছে। আমি শুধু আপনাদের সঙ্গে সংহতি জানাতে এখানে এসেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী। আমাদের নেতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রথম সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ যুক্ত করেছিলেন—এটি এখনও রয়েছে। অনেকেই এটিকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছে, পারেনি। তবে যা আর নেই, তা হলো আল্লাহর প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস তিনি সংবিধানের প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে যুক্ত করেছিলেন—সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। আপনারা কি চান আমরা এটি আবার ফিরিয়ে আনতে? ইনশাআল্লাহ, আমরা তা ফিরিয়ে আনব।'
সালাহউদ্দিন বলেন, 'বিদেশি অতিথিরা যারা এখানে বক্তব্য দিয়েছেন, তারা মহান মুসলিম চিন্তক আল্লামা ইকবালের কবিতা ও বাণী উদ্ধৃত করেছেন। আপনারা কোরআনের বাণী শুনেছেন। মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–কে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। আমরা মুসলমান। আমরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’–এ বিশ্বাসী। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমি শেষ নবী, আমার পর আর কোনো নবী আসবে না।’ তাই কেউ যদি এর পরে নিজেকে নবী দাবি করে, তবে সে নবী (সা.)–এর ঘোষণার বাইরে। আল্লামা ইকবাল বলেছেন—‘কি মুহাম্মদ সে ওয়াফা তুনে তো হম তেরে হ্যায়…’।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি হজরত মুহাম্মদ (সা.)–ই শেষ নবী। কালেমা পাঠ করে আমরা মুসলমান হয়েছি। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের পরিচয়ে বিশ্বাসী। কিন্তু বিশ্বজনীনভাবে সব মুসলমান মিলে আমরা মিল্লাত–ই–ইসলামিয়া। আমাদের বিভক্তির কারণেই আজ ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের গণহত্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। আমাদের রোহিঙ্গা ভাইরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়নের শিকার—শুধু আমাদের দুর্বলতার কারণেই।'
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে