শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি গুম ও হত্যা সংক্রান্ত দুটি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল এ আদেশ দেন। অন্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন তিন মামলার ওপর শুনানি হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানি শেষে তিনি জানান, তিন মামলার মোট ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর মধ্যে র্যাবের টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জনকে হাজির করা হয় এবং আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে (২৯ অক্টোবরের মধ্যে) দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া জেআইসি বা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে গুমের অভিযোগে আরেক মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে তিনজনকে হাজির করা হয়, যাদের বিরুদ্ধেও একই আদেশ দেয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখও ২০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজির হওয়া দুজন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ ৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর পৃথক তিন মামলায় মোট ৩৪ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও আজকের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে। মামলাগুলোর আসামিদের মধ্যে ২৫ জনই সেনা কর্মকর্তা, আর শেখ হাসিনার নাম রয়েছে দুটি মামলায়। সেনাসদর জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে