Views Bangladesh Logo

উচ্চ মূল্যস্ফীতি হ্রাসের এই প্রবণতা ধরে রাখতে হবে

M A  Khaleque

এম এ খালেক

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ইস্যুটি সবচেয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে তা হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা। কোনোভাবেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছিল না। করোনা-উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি যখন উত্তরণের পর্যায়ে ছিল ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। ফলে পরিবহন সংকটজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার বছর বিশ্বের খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। তাই উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকে পণ্য উৎপাদন ঘাটতিজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ ছিল না।

যুদ্ধ শুরুকালীন বছরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং ইউক্রেন মিলে বিশ্বের মোট দানাদার খাদ্যের ৩০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে। রাশিয়া এককভাবে বিশ্ব জ্বালানি তেলের এক-দশমাংশ জোগান দেয়। যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাশিয়া এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আর যে সীমিত পরিমাণে জ্বালানি তেল রপ্তানি করা হতো তার মূল্য রাশিয়ান মুদ্রায় পরিশোধের শর্তারোপ করে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তৎপ্রেক্ষিতে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিরোধ বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যমূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করে ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়।

সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকা (ফেড) বিনিয়োগ সংকোচনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও পলিসি রেট (কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিডিউল ব্যাংকগুলোকে স্বল্প মেয়াদে যে ঋণ বা ধার দেয়) ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়। পলিসি রেট বৃদ্ধির ফলে সিডিউল ব্যাংকগুলো তাদের ব্যাংক ঋণের সুদের হারও (ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণদানের সময় যে সুদ চার্জ করে) আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি করে। এতে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ কস্টলি বা ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। সম্ভাব্য ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমে যায়। বাজারে অর্থের জোগান কমে যায়। এভাবে এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুসরণে বিশ্বের অন্তত ৭৭টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের পলিসি রেট বাড়িয়ে দেয়। পলিসি রেট বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা অর্থনীতির একটি সাধারণ সূত্র।

সেই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকও একাধিকবার পলিসি রেট বৃদ্ধি করে। আগে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি রেট ছিল ৫ শতাংশ এখন তা ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেই সময় পরিকল্পিতভাবে যে ভুলটি করে তাহলো তারা পলিসি রেট বৃদ্ধি করলেও ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধির কোনো সুযোগ দেয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সিডিউল ব্যাংকগুলোকে ঋণদানকালে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ চার্জ করার নির্দেশনা প্রদান করে। এতে ব্যাংকগুলোর ঋণদান কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ে; কিন্তু সরকারের সমর্থনপুষ্ট উদ্যোক্তা শ্রেণি ব্যাংক থেকে শিল্পকারখানা স্থাপনের নামে ব্যাপকভাবে ঋণ গ্রহণ শুরু করে। সেই ঋণের অর্থ তারা উদ্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যবহার না করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। ঋণের অর্থ কোনো না কোনোভাবে বাজারে চলে আসে। ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার কাজটি আরও জটিল হয়ে পড়ে। বিশ্বের খুব কম দেশই আছে যাদের অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা এতটা প্রলম্বিত হয়েছে।

ব্যাংক ঋণের সুদের হার এবং মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ফিক্সড করে রাখার ফলে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ভুল সিদ্ধান্ত যা কতিপয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছিল তা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে। ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার ৯ শতাংশে নির্ধারিত থাকাকালে এক মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। আর অর্জিত হয়েছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে শিল্পে ব্যবহার্য ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি কমেছিল ৭৬ শতাংশ। কাঁচামাল এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি কমেছিল ১৪ শতাংশ করে। তার অর্থ হচ্ছে প্রকল্প স্থাপনের নামে যে ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে অন্য খাতে প্রবাহিত করা হয়েছিল।

এই অবস্থায় গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন সাধন করা হয়। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ দেয়া হয়। ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ব্যাংক ঋণ গ্রহণ এখন সস্তা হয়ে পড়েছে। কারণ বিরাজমান মূল্যস্ফীতির চেয়েও সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হারকে বাজারভিত্তিক করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে মার্কিন ডলারের বিনিময় হারও বাজারভিত্তিক করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পাওয়ার পর ড. আহসান এইচ মনসুর এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা অত্যন্ত বাস্তবধর্মী বলে বিবেচিত হয়েছে।

অনেকেরই ধারণা ছিল মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হলে মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হবে। স্থানীয় মুদ্রা টাকার ব্যাপক দরপতন ঘটবে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও উস্কে দেবে; কিন্তু আতঙ্কবাদীদের কোনো শঙ্কাই সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়নি। প্রথমে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের পরামর্শে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা হয়। মার্কিন ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার মার্কিন ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি মুদ্রা বাজারে। বাংলাদেশ ব্যাংক যাদের পরামর্শে ব্যাংক ঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার এবং মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারিত করে রেখেছিল তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা যেতে পারে। কারণ তাদের গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে।

যারা বলেন, মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি পেলে আমদানি ব্যয় বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হবে তাদের বক্তব্যও পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ বাংলাদেশ তার ব্যবহার্য পণ্যের মাত্র ২৫ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে থাকে। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। ২৫ শতাংশ আমদানি পণ্য মূল্যস্ফীতির ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। বাজার ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করা এবং বাজারে তৎপর রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দমন করা গেলে মূল্যস্ফীতি এমনিতেই কমে আসবে। বিগত সরকার আমলে দেশের অর্থনীতিতে জাতীয় স্বার্থে পরিচালনা না করে গোষ্ঠী বিশেষের উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি বর্তমানে কমে আসার প্রবণতায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত কিছু বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের কারণেই মূলত এটা ঘটছে। মূল্যস্ফীতি যেভাবে কমে আসছে তা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জিত হতে পারে। এমনকি মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কমতে পারে। চলতি অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। টানা চার মাস ধরে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের প্রবণতা বজায় রয়েছে। গত জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এটা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি। এর আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, গত জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে আসার কারণে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তির মধ্যে রয়েছে। আমাদের দেশে ৭৪০টি পণ্যকে বিবেচনায় নিয়ে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে শহরে ৪২২টি পণ্য এবং গ্রামে ৩১৮টি পণ্যকে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণকালে বিবেচনায় নেয়া হয়। এর মধ্যে এমন কিছু পণ্য আছে যা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোকে মূল্যস্ফীতির প্রভাব নির্ধারণের সময় বাদ দেয়া যেতে পারে। তার পরিবর্তে জনজীবনে অত্যাবশ্যক এমন সব পণ্যকে বিবেচনায় নিয়ে মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা যেতে পারে- সেটাই হবে সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে সাধারণ মানুষকে। তারা চাইলেই প্রত্যাশিত বস্তু ক্রয় করতে পারেন না। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাধারণ জীবনে সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) সবচেয়ে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। সেই সময় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এটা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি।

সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও সাধারণ মানুষের আয় কিন্তু সেভাবে বাড়ছে না। ফলে তাদের পার্চেজিং পাওয়ার ক্রমশ কমে যাচ্ছে। জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে মজুরি বৃদ্ধির হার সেভাবে বাড়ছে না। বিগত সরকার আমলে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে দেখিয়ে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করা হতো। বর্তমানে সেই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টা লক্ষ্যণীয়। সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি একই রকম প্রভাব সৃষ্টি করে না। যেমন, কোনো সময়ে বাজারে লেবুর দাম বৃদ্ধি পেলেও তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। কারণ আমরা চাইলেই লেবু খাবার হিসেবে গ্রহণ না করেও থাকতে পারি; কিন্তু চালের দাম যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে অসুবিধা হবে। কারণ বিত্তবান-বিত্তহীন নির্বিশেষে সবাই খাবার হিসেবে ভাত গ্রহণ করে। আর মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হলেও অসুবিধা নেই যদি সাধারণ মানুষের আয় সেই অনুপাতে বৃদ্ধি পায়। মানুষের পার্চেজিং পাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পার্চেজিং পাওয়ার যদি মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি হারে বৃদ্ধি পায় তাহলে কোনো অসুবিধা হবে না। তাই আমাদের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মানুষের পার্চেজিং পাওয়ার বৃদ্ধির দিকে মনোযোগী হতে হবে।

বর্তমানে বাজারে রাজনৈতিক আশ্রয়পুষ্ট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের তৎপরতা কিছুটা কমেছে; কিন্তু ব্যাপকমাত্রায় বেড়েছে চাঁদাবাজি। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে একটি মহল দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকমাত্রায় চাঁদাবাজি করে চলেছে। দল ক্ষমতায় আসার আগেই যারা এমন চাঁদাবাজি করতে পারে ক্ষমতায় গেলে তারা না জানি কি করবে!

আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের মনে যে আশার সঞ্চার হয়েছে, যে গণআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনোক্রমেই দেশের রাজনীতিকে আগের ধারায় চলতে দেয়া যাবে না।

এম এ খালেক: অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ও অর্থনীতিবিষয়ক লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ