Views Bangladesh Logo

গাইবান্ধায় স্কুলের পাশে বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি, অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

গাইবান্ধা সদর উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে বাণিজ্য মেলার আয়োজন ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। পাঠদানের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি ‘কল্পলতা কিন্ডারগার্টেন’ নামে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে কলেজে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি এমপিওভুক্ত এবং ১৫শ’র বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। সর্বশেষ এসএসসি পরীক্ষায় ৮৬ শতাংশ পাসের হার এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এ+ পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করেছে।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় মেলা বসানোর উদ্যোগ নেয়ায় সৃষ্টি হয়েছে নানা উদ্বেগ। সংশ্লিষ্ট এলাকায় রয়েছে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পিটিআই, কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, মসজিদ, মন্দিরসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, চলতি বছরে এর আগেও গাইবান্ধা স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে একটি বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মেলার আয়োজনের দায়িত্ব দিয়ে ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে ইজারা দেয় এক বেসরকারি উদ্যোক্তা মো. আল মামুনের কাছে।

পূর্বে ওই মেলার কর্মীদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে এবং তা নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বপীল বলেন, ‘স্কুলের পাশেই মেলার আয়োজন পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছে।’

এক অভিভাবক শাহ মো. জাহিদুল ইসলাম প্রশ্ন তোলেন, ‘একই বছরে দুটি মেলার প্রয়োজন কী? এতে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারাচ্ছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ তিনি মেলা দ্রুত স্থানান্তরের দাবি জানান।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘আমাদের স্কুলের একটি সুনাম রয়েছে। স্কুলের পাশে বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতিতে অভিভাবকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।’

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ প্রমদা রঞ্জন পাল বলেন, ‘মেলা প্রস্তুতির টুংটাং শব্দে পাঠদানে এখনই ছেলে মেয়েরা অমনোযোগী হয়ে পড়েছে।’

কি পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে প্রতিবেদককে তিনি জানান, মেলা বন্ধে আমরা জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদ আল হাসান স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল মামুন বলেন, ‘মেলা বন্ধের বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদন দিয়েছেন। উক্ত বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ