আত্মঘাতী পথে অগ্রসর হচ্ছে এনসিপি: টিআইবি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বর্তমান গতিপথকে ‘আত্মঘাতী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে এনসিপির গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হলেও দলটির অগ্রগতি অনেক দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ।
টিআইবি জানায়, জনগণের প্রত্যাশা ছিল এনসিপি সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। কিন্তু এর বিপরীতে দলটির অর্থায়নের উৎসে অস্বচ্ছতা, দলীয় কোন্দল, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘‘নতুন বাংলাদেশ: স্বৈরশাসনের পতনের এক বছরের পর্যবেক্ষণ’’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে টিআইবির রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন জানান, নির্বাচনের তারিখ, সংস্কার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গভীর অবিশ্বাস এবং সহযোগিতার অভাবের কারণে নির্বাচন সংস্কার ও আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অনমনীয় অবস্থানও পরিস্থিতিকে জটিল করছে।
তিনি আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যকার মতাদর্শগত বিভাজন ও ক্ষমতা দ্বন্দ্বের ফলেই এনসিপিসহ নানা রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, আসন্ন নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে রাজনৈতিক পুনঃবিন্যাসের প্রবণতা দেখা গেছে—পুরনো জোটগুলো ভেঙে নতুন জোট গঠিত হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকে একাধিক নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক যাচাইয়ে কোনো দলই টিকতে পারেনি। এর অধিকাংশই ‘‘নামমাত্র’’ দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এনসিপিও নিবন্ধন সংক্রান্ত মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং গবেষণা সহকারী শাহজাদা এম আকরাম ও ফারহানা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে