নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশকারীরা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়: সালাহউদ্দিন
জাতীয় ঐকমত্যে সুষ্ঠু সুন্দর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য জাতি অপেক্ষমাণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা যেজন্য শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অন্ধত্ব বরণ করেছেন, আমরাও অবিরাম ১৬/১৭ বছরের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করেছি, সেই গণতন্ত্রের জন্যও অপেক্ষমাণ’।
‘সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কা প্রকাশ করে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু, তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষের শক্তি নয়’ বলেও মন্তব্য করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। বলেন, ‘তারা হয়তো কোনো না কোনো কারণে নিজের কথাগুলোই ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছেন, যেন নির্বাচনকে বিলম্বিত বা বানচাল করা যায় অথবা নির্বাচন না হোক, সেটাই তারা চায়। তবে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রয়োগে সংকল্পবদ্ধ’।
‘জনগণ ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যেকোনো ধরনের বাধাকেও অতিক্রমে সংকল্পবদ্ধ’- বলেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় যুবদলের এই আয়োজনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনের বিপক্ষে যারাই কোনো বক্তব্য বা কুযুক্তি উত্থাপন বা গণতন্ত্রের এই যাত্রাপথকে কন্টাকাকীর্ণ করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ রুখে দাঁড়াবে’।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘গণতন্ত্রকে যদি বিনির্মাণ করতে চাই, অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যদি নির্মাণ করতে চাই সাম্যের ভিত্তিতে, তাহলেও আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ফ্যাঁসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে’।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশের মানুষের মতো বিএনপিও আনন্দিত উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, তার দিক-নির্দেশনায় আমরা সব সময় আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি’।
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া শুধু একটি নাম নন, তিনি একটি ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে বন্দিত্ব সহ্য করেছেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর স্বৈরাচারবিরোধী নয় বছরের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আপসহীন নেত্রীর মর্যাদা অর্জন করেন এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।'
তিনি আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন ছিল খালেদা জিয়ার অবদান। জনগণের দাবি মেনে ১৯৯৬ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে করতে আজও তিনি গণতন্ত্রের আলো ছড়িয়ে মানুষের দিশারি এবং জাতির পথপ্রদর্শক হয়ে বেঁচে আছেন। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবজ হিসেবে তিনি দীর্ঘায়ু, শতায়ু লাভ করুন’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে