শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৫ ঘণ্টা আটকা থাই এয়ারওয়েজের যাত্রীরা
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বুধবার রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাড়তে পারেনি ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের (টিজি-৩৪০) ফ্লাইট। এর ফলে ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড যাচ্ছিলেন ফলে এই দীর্ঘ বিলম্ব তাদের জন্য আরও বেশি কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা ছিল। এ জন্য অধিকাংশ যাত্রী রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে পৌঁছে ইমিগ্রেশন ও বোর্ডিং কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। তবে বোর্ডিংয়ের ঠিক আগে এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ছেড়ে যেতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত যাত্রীরা জানান, এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা বা সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, গতকাল হঠাৎ আমাদের বলা হলো ফ্লাইট ছাড়ছে না। ফ্লাইটটি ত্রুটি সারিয়ে কখন ছাড়বে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। যোগাযোগের জন্য ৩টি নাম্বার দিয়েছে। এর মধ্যে ২টিই বন্ধ। তৃতীয় নম্বরটি কেউ ধরে না। যে যার মতো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কোনো নির্দেশনা নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হলেও কর্তৃপক্ষের কেউ সামনে এসে সঠিক তথ্য দেননি বা বিকল্প ফ্লাইটের কোনো আশ্বাসও দেননি।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপয়েন্টমেন্ট আমরা মিস করেছি। বারবার অনুরোধ করেও থাই এয়ারওয়েজ কোনো বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেনি বা কোনো তথ্য জানায়নি।
এদিকে আটকে পড়াদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি ও হুইল চেয়ারে থাকা যাত্রীরাও ছিলেন, যারা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং দ্রুত বিশ্রাম বা চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধা তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে জানতে থাই এয়ারওয়েজের ঢাকার স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আটকা পড়া যাত্রীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে তারা কোনো আনুষ্ঠানিক আপডেট পাননি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে