ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন জরুরি: রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় শুধু ব্যক্তিগত সচেতনতা নয় বরং দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন পরিবর্তন। এ জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে এবং পরিবর্তনের উদ্যোগে অংশ নিতে হবে।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান জানান, শিল্পদূষণ রোধে বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে এবং ঢাকার আশপাশের নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পলিথিনবিরোধী কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এছাড়া বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নগরায়ণ ও ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নকশা অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি হলো গ্রামীণ আবহ ও একজন আদর্শ কৃষকের জীবনযাপন। অনাবৃত জায়গায় ঘাস লাগানোর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সরকার দিকনির্দেশনা দেবে, তবে পরিবর্তনের পথে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব। সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ।

আলোচনায় অংশ নেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক, রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ডিএনসিসির নগর পরিকল্পনাবিদ দিলবাহার আহমেদ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান।

বক্তারা ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই নগর উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা ও কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।