চার্লি কার্ক হত্যার সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটিভ অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছের লোক চার্লি কার্ক গত বুধবার উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম টাইলার রবিনসন (২২) বলে জানান উটাহর গভর্নর।
সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা আসার পর কার্কের স্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি তার স্বামীর কাজ ও আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। এই ঘোষণা আসার মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার অভিযান শেষ হয়েছে। খবর এএফপির।
ইউটাহের গভর্নর স্পেন্সার কক্স এক প্রেস কনফারেন্সে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রবিনসনের বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন; তিনি আগের দিন প্রকাশিত নজরদারি চিত্রে সন্তানকে শনাক্ত করেছিলেন।
গভর্নর কক্স বলেন, আমরা তাকে ধরেছি। ন্যায়বিচার হবে।
৩১ বছর বয়সী কার্ক, ডানপন্থি রাজনীতির প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। বুধবার ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরেমে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হঠাৎ গুলি চালানো হয়, যা কয়েকশো দর্শকের সামনে ঘটে।
কার্ক যুব সংরক্ষণবাদীদের মধ্যে বিপুল অনুসারী তৈরি করেছিলেন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জাগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রেস, লিঙ্গ ও অস্ত্রাধিকারের বিষয়ে তার স্পষ্ট ও কঠোর মতামত তাকে সমর্থক ও সমালোচক—উভয়ের কাছেই পরিচিতি এনে দিয়েছিল। বিভাজক চরিত্র থাকা সত্ত্বেও, তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা তার খোলামেলা বিতর্কের পদ্ধতিকে স্বীকার করেছিলেন।
হত্যার পর কার্কের স্ত্রী স্বামীর কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘চার্লি বিশ্বাস করতেন ধারণার শক্তি এবং দৃঢ় বিশ্বাসের ক্ষমতায়। আমি তার মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাকে সম্মান জানাব।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সকল ফেডারেল ভবলে কার্কের স্মৃতিতে পতাকা অর্ধনমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই হত্যাকাণ্ড আমেরিকায় রাজনৈতিক সহিংসতার ক্রমবর্ধমান হুমকি নিয়ে জাতীয় আলোচনা পুনরায় শুরু করেছে।
গভর্নর কক্স বলেন, ‘এটাই আমাদের মুহূর্ত। আমরা কি উত্তেজনা বাড়াব, নাকি বিকল্প পথ খুঁজব? আমাদের বিভাজনের পরিবর্তে সংলাপ বেছে নিতে হবে।’
কর্তৃপক্ষ এখনো হত্যার সম্ভাব্য মোটিভ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। রবিনসন বর্তমানে ফেডারেল হেফাজতে রয়েছেন এবং আরও তদন্ত চলছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে