শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সুখরঞ্জন বালির অভিযোগ
গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন জামায়াত নেতা প্রয়াত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সাক্ষী পিরোজপুরের সুখরঞ্জন বালি। তার অভিযোগ, সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়ায় তাকে অপহরণ করে পাঁচ বছর অবৈধভাবে ভারতের কারাগারে আটকে রাখা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, ট্রাইব্যুনালের সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত, তদন্ত সংস্থার সাবেক প্রধান মো. সানাউল হক, তদন্তকারী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দেয়া লিখিত অভিযোগে সুখরঞ্জন বালি বলেন, তার ভাই বিশা বালিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করলেও ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়াতে শারীরিক নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এলে গেট থেকেই তাকে সাদা পোশাকধারী পুলিশের সদস্যরা জোরপূর্বক তুলে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। তারপর তাকে একটা বদ্ধ রুমে প্রায় তিন মাস আটকে রাখা হয়। এরপর তাকে সেখান থেকে সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভারতের সীমান্তরক্ষীদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়’।
সুখরঞ্জন বালির আইনজীবী পারভেজ হোসেন বলেন, ‘তার মক্কেল পরে নিজেকে ভারতের কলকাতার বশিরহাটে দেখতে পান। সেখানে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর জেল জীবন কাটানোর পর মুক্তি পান তিনি’।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, সুখরঞ্জন বালি অভিযোগে বলেছেন, তার ভাইকে হত্যার সময় সেখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন না। অথচ, ২০১২ সালে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তাকে নানাভাবে চাপ দেয়া ও লাঞ্ছিত করা হয়েছিল’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে