আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস: বছরে বাংলাদেশে ২০ হাজারের বেশি আত্মহনন
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আত্মহত্যা সম্পর্কে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করে সহানুভূতিশীল ও সহায়ক আলোচনার পরিবেশ গড়ে তোলা’।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. ক্যাথরিন বোহেম বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। ব্যক্তিগত সংকট মোকাবেলার চেয়ে সম্মিলিত সংকট নিরসন করা জরুরি। নীরবতা ও লজ্জার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বোঝাপড়া এবং সহমর্মিতার পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতিবছর দুই লাখ ৮ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে চারটি সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এগুলো হলো আত্মহত্যা পদ্ধতির (বিষ, অস্ত্র) সহজপ্রাপ্যতা সীমিত করা, আত্মহত্যা নিয়ে গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল প্রতিবেদন করা, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সামাজিক ও আবেগীয় দক্ষতা গড়ে তোলা এবং আত্মহত্যা ও আত্ম-আঘাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে সহায়তার ব্যবস্থা করা।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে প্রতিবছর গড়ে ২০ হাজার ৫০৫ জন আত্মহত্যা করেন। তাদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ কিশোরী। ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। আর শহরের চেয়ে এ হার গ্রামে বেশী।
কিশোরীদের আত্মহত্যা রুখতে স্কুল পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু এবং শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের পরামর্শ দেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে