মায়ের স্ট্রোকে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি, শিক্ষার্থীর বিষয়ে বিবেচনায় সরকার
চলতি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। তবে পরীক্ষার প্রথম দিনেই হৃদয়বিদারক এক ঘটনার মুখোমুখি হন রাজধানীর এক পরীক্ষার্থী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালেও নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে আসায় তাকে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি।
শুক্রবার (২৭ জুন) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজে জানানো হয়, বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরীক্ষা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেছেন, ‘মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুঃসময়ে আমরা শিক্ষার্থীর পাশে রয়েছি। তাকে অনুরোধ করছি, যেন অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ না করে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে।’ ‘তার এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি’, বলেন উপদেষ্টা।
জানা গেছে, আয়শা একটি সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা নেই। মা-ই ছিলেন একমাত্র অভিভাবক। পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে হঠাৎ স্ট্রোক করেন আয়শার মা। আয়শা তাৎক্ষণিকভাবে মাকে নিয়ে ছুটে যান হাসপাতালে। মাকে ভর্তি করে পরে দৌড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালেও ততক্ষণে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষানিয়ন্ত্রক আয়শাকে পরীক্ষায় বসতে দেননি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনেকেই শিক্ষাব্যবস্থায় মানবিক বিবেচনার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে