Views Bangladesh Logo

প্রতিবাদের মুখে রাবির ছয় ডিনের পদত্যাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। দিনব্যাপী চলা এক বিক্ষোভের পর তারা পদত্যাগ করেন। ওই বিক্ষোভে ডিনদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া এবং রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে।

রোববার রাত (২১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


পদত্যাগ করা ডিনরা হলেন- আইন অনুষদের আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক নাসিমা আখতার, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা।

এ বিষয়ে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।”

তবে আন্দোলনের কথা জানেন না বলে দাবি করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, “আজ কী হয়েছে সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।”

নতুন ডিন নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পদাধিকার বলে উপাচার্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে এদিন সকালে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ডিন এবং আওয়ামীপন্থি কয়েকজন শিক্ষকের চেম্বারে যান। তবে এ সময় তারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, সামাজিক বিজ্ঞান এবং আইন অনুষদের ডিনদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। পরে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ সব দপ্তরের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আজ মোটামুটি সব দপ্তরে আওয়ামীপন্থিদের দপ্তরগুলো তালাবদ্ধ। আমিও এটাই চাই, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তালাবদ্ধ থাকুক। সাথে সাথে একটা তালিকা করেছি বিগত জুলাইয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান করা শিক্ষকদের।

“ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে থাকা তালিকাও আহ্বান করছি অনুগ্রহপূর্বক। আমার তালিকায় অনেকে বাদ পড়তে পারে সেটা আপনাদের থেকে সংগ্রহ করব আগামী তিন দিনের মধ্যে।”

এ সময় ডিনরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত জানান আন্দোলনকারীরা।

পরে বিকালে প্রশাসন ভবনে উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয় এবং রাতে আবারও একটি বৈঠক হয়। এ সময় পদত্যাগের ঘোষণা দেন ডিনরা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তাদের মেয়াদ ছিল ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

কিন্তু উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনদের নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্ব-পদে থাকার নির্দেশ দেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ