সুদানে নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ দেশে আসছে আজ

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ আজ শনিবার দেশে আনা হচ্ছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী এই বীরদের জানাজা ও দাফন যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহীদ শান্তিরক্ষীদের মরদেহ বহনকারী বিমানটি শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় উগান্ডার এন্টেব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। আজ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।

শহীদ শান্তিরক্ষীরা হলেন— কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, সৈনিক শামীম রেজা, সৈনিক শান্ত মণ্ডল, মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।

ড্রোন হামলায় আরও আটজন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত হন। তারা হলেন— কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান।

আহতদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সফল অস্ত্রোপচারের পর তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অন্যরা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসা শেষে ইতোমধ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ছয় সদস্য শাহাদাতবরণ করেন। জাতিসংঘের পতাকাতলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন। তাদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।