লটারিতে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু শুক্রবার

দেশের সব সরকারি স্কুল এবং মহানগর ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি স্কুলে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে। আগের মতো এবারও ভর্তিতে থাকছে ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থা।

ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ভর্তি শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জানান, শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন ওয়েবসাইট: gsa.teletalk.com.bd। প্রতি আবেদনে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা—যা আগেরবারের তুলনায় ১০ টাকা কম।

১৪ ডিসেম্বর ভর্তির ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। লটারি শেষে ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এছাড়া ২২–২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমান তালিকা এবং ২৭–৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।

আবেদনের সময় শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দক্রমে নির্বাচন করতে পারবেন। ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট বেছে নিলে তা দুটি আলাদা পছন্দ হিসেবে গণ্য হবে। একই স্কুল বা শিফট পুনরায় বেছে নেওয়া যাবে না।

সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে করা হবে। কোনো ধরনের লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের উপযুক্ত সন্তানের জন্য সমসংখ্যক অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত থাকবে, তাদের আলাদা আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

বেসরকারি স্কুলে ভর্তি
ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলা-উপজেলা সদরের সব বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজেও একই সময় অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বয়সসীমা ও আবেদন প্রক্রিয়া সরকারি স্কুলের মতোই থাকবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সন্তানদের জন্য কোনো কোটা নেই—তাদের সাধারণ নিয়মেই আবেদন করতে হবে। এ বছর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ভর্তি ফরম সরাসরি বিতরণ করবে না; সব আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হবে।