গণমাধ্যমকর্মীদের নীতিমালা প্রত্যাখ্যান আরএফইডির
নির্বাচন কমিশনের সদ্য ঘোষিত ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতি ২০২৫’–কে সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতা ও নির্বাচনী স্বচ্ছতার পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি (আরএফইডি)।
রোববার (২৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি কাজী জেবেল, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং দপ্তর সম্পাদক মো. আল-আমিন জানান, এই নীতিমালা সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ ও নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে অপ্রয়োজনীয় বাধা সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিপন্থী। এতে এমন সব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যা সাংবাদিকদের নিরাপদ, স্বাধীন ও বাস্তবমুখী রিপোর্টিংয়ের পরিবেশকে সংকুচিত করে।
আরএফইডি উদাহরণ দিয়ে জানায়, ভোটকেন্দ্রে ছবি তোলা বা তথ্য সংগ্রহের আগে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে—এমন বিধান বাস্তব সাংবাদিকতার জন্য বড় বাধা। পাশাপাশি একটি কেন্দ্রের জন্য সাংবাদিকদের সংখ্যা নির্ধারণ এবং অবস্থানকাল ১০ মিনিটে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে সংগঠনটি ‘নির্বাচনী অনিয়ম পর্যবেক্ষণের অন্তরায়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, নীতিমালায় সাংবাদিকদের জন্য শাস্তিমূলক বিধান থাকলেও যদি কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়, সেক্ষেত্রে তাদের জবাবদিহির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আরও বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত নির্বাচন কর্মকর্তা, এজেন্ট কিংবা ভোটারের বক্তব্য নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা সংবাদ পরিবেশনে বড় বাধা এবং জনগণের জানার অধিকার লঙ্ঘন করে।
তবে, নির্বাচনি দিন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতিকে আরএফইডি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানালেও তারা মনে করে, এটি ওই নীতিমালায় থাকা অন্যান্য বিধিনিষেধকে খণ্ডন করে না।
আরএফইডি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালাটি পুনর্বিবেচনা ও সংশোধন করতে, যাতে একটি বাস্তবমুখী, ভারসাম্যপূর্ণ ও সাংবাদিকবান্ধব কাঠামো নিশ্চিত করা যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে