Views Bangladesh Logo

গান-কবিতা ও আলোচনায় রবীন্দ্র-নজরুলকে স্মরণ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণ। বাংলা সাহিত্যের দুই মহীরুহ। তাদের অবদান ছাড়া বাঙালির মানস গঠনের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যেত। বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় গঠন ও মননের প্রসারে তাদের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সৃষ্টি বিশ্বময়’ এর রবীন্দ্রনাথ নজরুল স্মরণ অনুষ্ঠানে এসব বক্তব্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে আলোচনা ছাড়াও গানে-কবিতায় দুই কবিকে স্মরণ করা করা হয়।

রাজধানীর পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র মিলনায়তনে দলীয় সঙ্গীতে সূচনা হয় অনুষ্ঠানটির।

আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি বাসুদেব ধর ও উপদেষ্টা পুলক রাহা, সিলেটের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিরঞ্জন দে এবং খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবীর।

তারা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ তার গভীর মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, প্রকৃতিপ্রেম ও জীবন দর্শনের মাধ্যমে বাঙালির পরিচয়কে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছেন। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। নজরুলও তার কলমে বিদ্রোহ, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, মানবিক মর্যাদা, সাম্য আর নিপীড়িত ও সংগ্রামী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। বিদ্রোহী কবিতা, গান ও লেখায় শোষণ, বঞ্চনা ও সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে মানবমুক্তির আহ্বান জানিয়ে গেছেন তিনি’।

তারা বলেন, ‘রবীন্দ্র-নজরুলকে শ্রদ্ধা জানানো মানে নিজেদের শিকড়ে ফিরে যাওয়া, সাহিত্য-সংস্কৃতির আসল আলোয় জাতিকে পুনরুজ্জীবিত করা। আজকের দিনেও তাদের সৃষ্টিকর্ম, চিন্তা-চেতনা আমাদের জীবনের প্রতিদিনের কাজে প্রয়োগও বিশেষ জরুরি’।

অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন রত্না দত্ত, শিল্পী সাহা, অনিকেত আচার্য, সুদেষ্ণা বীর ছোঁয়া, শামীমা রহমান মুন্নী, সোমা দাস, তৃষা, মারটিনা এম সাংমা তৃষ্ণা, জাকারিয়া সুমন, বর্ষা রাহা, সানোয়ারা জাহান নিতু, মো. মোমিন উল্লাহ ও অলক দাসগুপ্ত এবং শিশুশিল্পী আদৃতা জারা রায়, আবৃতা সারা রায় ও দূর্বা।

একক আবৃত্তি পরিবেশন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিক শিল্পী সোয়াইব আহমেদ।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ