বুলবুল কমিটিকে 'অবৈধ' অভিহিত করে বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবনির্বাচিত কমিটিকে 'অবৈধ' বলে অভিহিত এবং ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ৪৮টি বিদ্রোহী ক্লাব।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে 'ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার'-এর ব্যানারে এই ঘোষণা দেয় ক্লাবগুলো। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামানসহ প্রায় ৪০ জন ক্লাব সংগঠক।
মাসুদুজ্জামান বলেন, '৬ অক্টোবরের নির্বাচন কারচুপির সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা এই নির্বাচন মানি না। আমাদের কাছে নবনির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবৈধ। যেহেতু ক্রিকেটের চেতনা হারিয়ে গেছে, তাই আমরা ঘোষণা করছি, আমরা প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কোনো লীগে অংশ নেবো না। আপাতত ক্রিকেট স্থগিত থাকবে'।
তিনি বলেন, 'সামনেই ফেডারেশন, দ্বিতীয় বিভাগ ও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ। আমরা, যে ক্লাবগুলো যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছিলাম, তারা এখন ঘোষণা করছি, ক্রিকেট তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। যদি তারা এভাবেই চালিয়ে যেতে চান, তাহলে আমরা ক্রিকেট খেলব না। যদি কোনো ক্লাবের প্রতিনিধিকে হুমকি দেয়া হয় বা ষড়যন্ত্রে আটকা পড়ে, তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত, ক্রিকেট বন্ধ। এটি আমাদের ঘোষণা'।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিবি’র নির্বাচনে ২৫টি পরিচালক পদের মধ্যে ২৩ জন ভোটে নির্বাচিত হন। এনএসসি’র মনোনয়নে পরিচালক হন বাকি দুজন। সেদিনই নবনির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে নতুন সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। একই নির্বাচনে সহ সভাপতির পদ দুটি পান ফারুক আহমেদ ও শাখাওয়াত হোসেন। ফলাফল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে বুলবুলকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন।
নির্বাচনের আগে তফসিল পুনঃনির্ধারণ বা ভোটগ্রহণে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনসহ তিনটি দাবি উত্থাপন করেছিল ক্লাবগুলো। দাবিগুলো পূরণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপিও দেয় তারা। কিন্তু দাবি উপেক্ষা ও নির্বাচন এগিয়ে নেয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ক্লাবগুলো।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে