Views Bangladesh Logo

পাঠকের রূপান্তর, লেখকের দুর্ভাবনা

গের মতো এখন আর কেউ বইয়ের পাতা উল্টে গল্প-উপন্যাস পড়তে পড়তে চোখের জলে বালিশ ভিজায় না। এখন চোখ রাখে টিভি বা হাতের তালুতে রাখা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। কে আর কষ্ট করে পড়ে সাদা কালো অক্ষরে রঙিন কল্পলোকে ঘুরতে চায়? এক লেখক আর এক লেখককে বলেন, কী হবে ভাই এত লিখে, কেউ তো ওসব পড়ে না।

সাম্প্রতিককালে পাঠকদের দুষছেন লেখক-প্রকাশক দুজনই। তাদের অভিযোগ, পাঠকরা এখন মোবাইল ফোনে এত বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছেন যে তাদের আর বই পড়বার সময় নেই। ধরুন, একজন একটা গল্প বা উপন্যাস পড়তে শুরু করলেন। পড়ে মজাও পাচ্ছেন; কিন্তু পরিপূর্ণ আনন্দ পেতে তো তাকে সেই গল্প বা উপন্যাসের চরিত্রগুলোর একটা কল্পিত চেহারা মনের ভেতর দাঁড় করাতে হচ্ছে, পারিপার্শ্বিকতা বুঝতে সেসব দৃশ্যকল্প মনের ভেতর সাজাতে হচ্ছে। এগুলোর বোধশক্তি তো সবার সমান না, তাই এক একজন একই বই পড়ে সেগুলোর কাল্পনিক চিত্রায়ণ করছেন এক একভাবে। অনুভূতির প্রখরতায় সেসব কনটেন্টে আবেগের তীব্রতাও বদলে যাচ্ছে। এতে তাকে সেই গল্পটির সুধারস পান করতে মস্তিষ্কে অনেক জ্বালানি ব্যয় করতে হচ্ছে।

পক্ষান্তরে সেই গল্প বা উপন্যাসটি যখন চলচ্চিত্র বা দৃশ্যমান নাটকে রূপান্তর করে পরিবেশন করা হচ্ছে তখন নানা অনুভূতি ও বোধশক্তির বই-পাঠকরা দেখছেন সেটা একইভাবে, বিশ্লেষণ ও বিচার আলাদা হলেও দেখাটা হচ্ছে একই। গল্প বা উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীদের চেহারা কেমন ছিল, বয়স কত, পোশাকটা কেমন ছিল, তাদের আশপাশে কি ছিল- সেগুলো নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হচ্ছে না। ফলে সেটা মানুষকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করতে ও বিনোদন দিতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে দিন দিন বইয়ের পাঠকরা বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, ঝুঁকে পড়ছেন শ্রুতিদর্শন মাধ্যমের দিকে।

গল্প বা উপন্যাসের বিষয়টি হয়তো এ রকম; কিন্তু কবিতা? কবিতার পাঠকরা কেন কবিতা পড়তে চাইছেন না? কল্পনা করুন তো, বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। একজন পাঠকের মনে হচ্ছে, এমন সময় বর্ষার কয়েকটা কবিতা পড়লে মন্দ হতো না; কিন্তু কোন বইয়ের কোথায় কি বর্ষার কবিতা আছে, কতক্ষণ ধরে কোথায় খুঁজব? আর তার সংগ্রহে কতগুলো কবিতার বই-ই বা আছে? পরক্ষণেই মনে হলো, তার আর দরকার কী? গুগল সাহেবের কাছে বা ইউটিউবে বর্ষার কবিতা লিখে সার্চ দিলেই তো হয়। লিখে সার্চ দিতেই মূহূর্তের মধ্যেই চোখের সামনে মোবাইলের পর্দায় ভেসে উঠল কয়েকশ’ বর্ষার কবিতা। নাহ, এর মধ্যে কোনটা পড়ব? তার চেয়ে ‘বেস্ট রেইন পোয়েম অর সং ইন বেঙ্গলি’ লিখে ফের সার্চ দিতেই সেরা কিছু বর্ষার কবিতা বা গান এসে হাজির হলো।

সঙ্গে কিছু আবৃত্তিকারের সুললিত কণ্ঠে আবৃত্তির ভিডিও। চোখের আরাম দিতে শেষে ভিডিওকেই বেছে নিলেন পাঠক। কবিতা আর পড়া হলো না, পড়লেও দু-একজন পড়লেন; কিন্তু কবিতার যে বইগুলো কেনা হয়েছিল সেগুলো তো সেই তাকেই তোলা রইল। তার ওপর ধুলো জমতে জমতে হঠাৎ একদিন যখন তাতে হাত পড়ল, দেখা গেল বইয়ের কিছু কাগজশুদ্ধ অক্ষর খেয়ে ফেলেছে সিলভার ফিশ পোকারা। যে পাঠককে একদিন বাড়ির লোকেরা বুকওয়ার্ম বা বইয়ের পোকা বলতেন, সেই পাঠকই এখন বাস্তবের বুকওয়ার্মের শিকার। না পড়তে পড়তে বইগুলো বই কার্টনে পোকা আর তেলাপোকারা শেষ করে দিয়েছে! ওগুলো এখন ভাগাড়ে ফেলতে হবে।

আধুনিক কালে গল্প, উপন্যাস আর কবিতার স্বাদ ও আনন্দ পাঠকরা যেভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে পেতে পারেন, সেভাবে প্রবন্ধের বা বৈজ্ঞানিক কোনো নিবন্ধের পাঠ নেয়া কি সম্ভব? সেখানেও একালের পাঠকদের সামনে গুগল সাহেব খুলে দিয়েছেন পৃথিবীর সব জানালা। কোন জানালা দিয়ে পাঠক কতটুকু দেখবেন তা তার নিজস্ব পছন্দ, আগ্রহ আর প্রয়াসের বিষয়। ধরুন, কোনো একজন লেখক, যিনি এই মুহূর্তে পাঠক হয়ে তার লেখার মাল-মসলা খুঁজতে চাইছেন, বিষয়টা ইতিহাসের বা বিজ্ঞানের, পরিবেশ বা প্রকৃতির। বিষয় নির্ধারণের পর সুনির্দিষ্ট সে বিষয়ে অনুসন্ধান করলেই হাজার হাজার ওয়েবসাইট বা পাতা চোখে সামনে খুলে যাবে।

সেক্ষেত্রে সেগুলো পড়ে পড়ে পাঠককে খুঁজে নিতে হবে তার দরকারের অংশটুকু। এ যেন বাজারে গিয়ে বাজার সওদা করার মতোই ব্যাপার। বিশ্বব্যাপী মুক্ততথ্যলোকে অবাধ তথ্যের ছড়াছড়ি। কোনটা ভেজাল, কোনটা খাঁটি বাজারীর জন্য তা যাচাই করা কঠিন। তার পছন্দের বা দরকারের জিনিসই তাকে কিনে নিয়ে আসতে হয়। তারপর বাড়িতে সেসব সওদা আনার পর প্রক্রিয়াজাত করে রান্না করা হয় সুস্বাদু খাবার। সেই খাবার সবাই যে পছন্দ করবে, খাবে- তা নয়। একজন লেখককেও তাই করতে হয়। পাকা দালান গড়তে কতটুকু বালির সঙ্গে কতটুকু সিমেন্ট মিশালে তা বেশি মজবুত হবে তা যেমন রাজমিস্ত্রিদের জানতে হয়, লেখককেও লেখাকে সুস্বাদু করতে কোন মাল-মসলা কতটুকু লেখায় মিশাতে হবে তা জানতে হয়। লেখার ভঙ্গিটা যার যার নিজস্ব।

আগেকার দিনে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হতো, তার শখ কী? তাদের কেউ না কেউ বলত- তার শখ হলো বই পড়া। যুগের পরিবর্তনে মনে হয় এখন শখেরও রূপান্তর ঘটেছে। পাঠের অভ্যাস কমে গেছে বলব না, বলছি বই পড়া কমে গেছে। এজন্য প্রকাশকরা আর বই ছাপতে রাজি হচ্ছেন না। এ দেশের একজন প্রথিতযশা প্রকাশক মোস্তফা সেলিমের ওখানে বসে একদিন এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল। আমার দাবি এখনকার মানুষ বই পড়ছে কম, এজন্য বই বিক্রি হচ্ছে কম। তিনি স্বীকার করলেন সে কথা। বই বিক্রি অনেক কমে এসেছে। কোনো কোনো বিশিষ্ট লেখকের বই একবার ছাপার পর তা বিক্রি হতে ১৮ থেকে ২০ বছরও লেগে যায়।

নবীন লেখক হলে তো সমস্যা আরও বেশি, অপরিচিত লেখকের বই পাঠকরা সহজে ধরতে চান না। নবীনদের লেখা পাঠকরা না ধরলে তাদের কি লেখক হওয়া হবে না? নবীন-প্রবীণ, পরিচিত-অপরিচিত তিনি যে লেখকই হোন না কেন, বইটা ছাপতে ফরমাপ্রতি খরচ তো প্রায় একই হয়। সে বই বিক্রি না হলে প্রকাশকরা টিকে থাকবেন কেমন করে। বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে এখন সেই সংকট চলছে। আগে যেমন গড়ে বই বের হতো, এখন বই বের হচ্ছে সিলেক্টিভ, সৃজনশীল বইয়ের পাঠক কিছু আছেন, লেখকও আছেন। সংকটটা মূলত বই বিক্রি না হওয়া।

এরপর রয়েছে বইয়ের দাম, মান, পাইরেসি ও ফটোকপির উপদ্রব। দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে পর্যাপ্ত পাঠক বা বইয়ের ক্রেতার অভাবে অনেক বইয়ের দোকান এখন রেস্তোরাঁ পরিণত হয়েছে। এ যুগের ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, মানুষ এখন বই পড়ার চেয়ে খায় বেশি- তাই বইয়ের দোকানের চেয়ে খাবারের দোকানেই ব্যবসা বেশি। কোনো কোনো প্রকাশক হয়তো টিকে আছেন কিছু প্রতিষ্ঠানে বই সরবরাহ বা বিক্রি করে। সেটার সংখ্যাও হাতে গোনা। কখনোই কোনো দেশে বই সাপ্লাইয়ের ওপর নির্ভর করে বইয়ের প্রকাশনা বেঁচে থাকতে পারে না, প্রকাশনা জগৎ টিকে থাকে পাঠকের ওপর, পাঠকরাই পাঠের শক্তি, প্রকাশকদের উৎসাহ।

একদিন পাখিবিশারদ ইনাম আল হকের সঙ্গে বইয়ের প্রকাশনা নিয়ে কিছু আলাপ হচ্ছিল। তিনি বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বইয়েরই ছাপা পঞ্চাশ হাজার কপির নিচে হয় না। কোনো কোনো লেখকের সৌভাগ্য দেখে ঈর্ষান্বিত হতে হয়। ২০০৭ সালে ২১ জুলাই প্রকাশিত হয়েছিল জেকে রাউলিংয়ের হ্যারি পটার সিরিজের শেষ খণ্ড বই ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ’। মার্কিন প্রকাশক স্কলাস্টিক সে বইটি প্রকাশের দিনেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়েছিল ৮৩ লাখ কপি। আর আমাদের দেশে কোনো কোনো বইয়ের মুদ্রণ দু্ইশ কপিও হয়। তাও আবার বেচতে লেগে যায় দশ বছর। এদেশে বহু প্রকাশিত বইয়েরই মাসে গড়ে এক কপি বই বিক্রি হয়।

অনেকেই হয়তো বলবেন, এই যদি এদেশে বই প্রকাশনার দুরবস্থা হয়- তাহলে ২০২৫ সালের বইমেলায় ৩২৯৯টি নতুন বই প্রকাশ কেন হলো, আর সাতশর বেশি প্রকাশকই বা এলেন কারা? প্রকাশনা জগতে যদি সংকট বিরাজ করে, পাঠকরা যদি বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে এক মাসের বই মেলায় প্রায় ২০ কোটি টাকার বই বিক্রি হলো কি করে? যুক্তি মেলানো কঠিন। প্রকাশনা জগতে এখন নানা রকমের চাতুর্যও চলছে, চমকও।

প্রকাশকরা বই উৎপাদনের সব খরচ দিলেও, অনেক লেখকের অভিযোগ তারা তাদের লেখার রয়্যালটির টাকা পান না, বই বিক্রির হিসাবও কেউ সঠিকভাবে জানান না, কোনো বইয়ের দ্বিতীয় মুদ্রণ হলেও লেখক জানেন না। কোনো কোনো প্রকাশক কোনো কোনো লেখকের কাছ থেকে বইটি ছাপার চেয়ে বেশি টাকা নিয়ে তার বইটি ছেপে দিচ্ছেন, নতুবা একটি নির্দিষ্টসংখ্যক কপি তাকে কিনে নিতে বাধ্য করছেন। এগুলো এখন আর গোপন নেই, অনেকেই তা জেনে গেছেন এবং অনেক নবীন লেখক তা স্বীকারও করে নিচ্ছেন, আনন্দিত হচ্ছেন এই ভেবে যে, এবারের বই মেলায় তার একটা বই বের হচ্ছে, তিনি লেখকের খাতায় নাম লেখালেন; কিন্তু লেখকদেরও ভাবা উচিত, বই প্রকাশের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বইয়ের পাঠক তৈরি করা, পাঠকরাই ঠিক করবেন কে লেখক আর কে লেখক না।

পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত লেখকই মাত্র এক বা দুটি বই লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন। হলিডে ক্যাম্প আন্দোলনের অগ্রপথিক ইংরেজ লেখিকা বার্থা উড তার ৯০ বছর বয়সে একটি বই লেখা শুরু করেছিলেন। পেশায় লেখিকা না হলেও তার লেখা ‘ফ্রেশ এয়ার অ্যান্ড ফান’ বইটি প্রকাশিত হয়েছিল তার ১০০তম জন্মদিনে, ২০০৫ সালে। সেটি ছিল তার জীবনের প্রথম ও শেষ বই। তাই লেখক হওয়ার জন্য বয়সের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসম্পন্ন লেখা ও বিষয়।

পাঠকদের একটি বড় অংশ হলো তরুণ প্রজন্ম, প্রবীণ প্রজন্মেরও অনেকে বই পড়ে অবসর সময়টা কাটাতে চান। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এখন বই পড়ার চেয়ে মোবাইলে ও আধুনিক ডিজিটাল পাঠে বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মোস্তফা সেলিমের কথা হলো তাতে অসুবিধা কী? মানুষ তো পড়ছে, এখন অনেকেই আর আগের মতো কাগজে ছাপা সংবাদপত্র পড়েন না, পড়েন বাতাসে ভাসা সংবাদপত্র। সুলভ ও বহুগামিতার এ সুযোগ এ প্রজন্ম হাতছাড়া করবেন কেন? পড়ার অভ্যাস তো আছে, শুধু পাঠাভ্যাসের রূপান্তর ঘটেছে। পড়ার অভ্যাসই যদি থাকে তাহলে বই প্রকাশে সমস্যা কোথায়? কেন প্রকাশকরা আগের মতো আর বই ছাপতে চাইছেন না?

প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে পাঠকদেরও রূপান্তর ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক। একসময় আমরা লেটার প্রেসে ছাপা দস্যু বনহুর বই পড়ে রোমাঞ্চিত হতাম। এখন অফসেট প্রেসে সুন্দর ছাপা, নান্দনিক প্রচ্ছদ ও অলংকৃত বই না দেখলে মন ভরে না। বই বিপণনেও এসেছে রূপান্তর। অনলাইনে বই ব্যবসা তো বেশ জমে উঠেছে। দেশে ও বিদেশে প্রকাশিত যে কোনো বই এখন ঘরে বসেই কেনা ও পাওয়া যাচ্ছে। এতে পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান সময় বেঁচে যাচ্ছে। পাঠকদের আর দোকানে দোকানে ঘুরে বই খুঁজে খুঁজে বই কিনতে হচ্ছে না। এসব বাস্তবতা ও অগ্রগতি এবং পাঠকদের রূপান্তর মেনে নিতে হবে।

লেখকও তৈরি হতে হবে, নাহলে তো লেখা বা কনটেন্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও আসবে না। তাই পাঠকের পাশাপাশি লেখকদেরও এখন এসব বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে, রূপান্তরের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে লেখক-প্রকাশক দুপক্ষকেই। লেখকের জন্য এখন বই ছাপাটাই অনিবার্য নয়, লেখা ও তা প্রকাশ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। পাঠকরা যেভাবে চান, সেভাবেই পড়বেন। এমন লেখক দরকার যাঁরা পাঠক তৈরি করতে পারেন, এমন কনটেন্ট দরকার যা পাঠের তৃষ্ণা জাগায়, এমন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক প্রকাশক দরকার যারা পাঠকের পালস বুঝতে পারেন, যুগের চাহিদা মিটাতে পারেন। একটি ভালো কাজ কখনো হারিয়ে যায় না, তাৎক্ষণিকভাবে পাঠকপ্রিয়তা না পেলেও সেগুলোর কোনো কোনোটি মাস্টারপিস হয়ে উঠতে পারে।

লেখক যদি প্রকাশের সংকোচে লেখা থেকে সরে যায় তাহলে আর কোনোভাবেই ভালো কিছু সৃষ্টি হবে না। আবার এ কথাও সত্য, লেখকের লেখা যদি প্রকাশ না পায় তাহলে সে পাণ্ডুলিপি বাক্সবন্দি করে রেখে লাভ নেই। পাঠের মাধ্যম যাই হোক, লেখকদের লেখা প্রকাশের সুযোগকে মুক্ত করতে হবে, লেখক-প্রকাশক উভয়কেই ভাবতে হবে, পাঠকের যেন অপমৃত্যু না ঘটে। সব লেখা বা সাহিত্য কাজেরই শেষ ঠিকানা পাঠকের বাড়ি।

মৃত্যুঞ্জয় রায়: প্রকৃতিবিষয়ক লেখক। 

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ