প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: আত্মসমর্পণের পর পালালেন রাজউক কর্মকর্তা
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে করা তিন মামলার আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (স্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আদালতে আত্মসমর্পণের দরখাস্ত দিয়েও পালিয়ে গেছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। এ দিন মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি খুরশীদ আলম আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জমা দেন। তবে বিচারক এজলাসে ওঠার আগেই তিনি আদালত এলাকা থেকে পালিয়ে যান।
দুদকের প্রসিকিউশন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসব মামলার একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন এবং অপর মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি।
বাকি তিন মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসব মামলায় একটিতে শেখ রেহানা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। আরেকটিতে আজমিনা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় রাদওয়ান, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে