রাজশাহীতে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারীর পদত্যাগ, যুগ্ম সমন্বয়কারীকে অব্যাহতি
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) জেলা ইউনিটে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন, আর গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন (সিফাত) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়। একইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল-আমিনের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির রাজশাহী জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগপত্র পাঠান। ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান। তিনি লিখেছেন, ‘এনসিপির ব্যানারে দেশের সেবা করতে পেরে আমি গর্বিত। তবে এখন মনে হচ্ছে, এত বড় পদ আমার জন্য নয়। আমি এনসিপির মঙ্গলই চাই।’
দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, পদত্যাগ ও সাময়িক অব্যাহতির পেছনে রয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা। তারা জানান, গত বুধবার রাতে রাশেদুল ইসলামের একটি রেস্তোরাঁয় বসা অবস্থায় নাহিদুল ইসলাম ও ফিরোজ আলমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাহিদুল, ফিরোজ আলমকে বুকে লাথি মারেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে গুরুতর আহত ফিরোজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার বিষয়ে নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘এটা কোনো বড় বিষয় না। আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন নিয়ে কথা বলার জন্যই এই ষড়যন্ত্র।’ তবে এনসিপির অন্য নেতারা এটিকে গুরুতর শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে দেখছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন রাতে এনসিপির রাজশাহী জেলা ও মহানগর সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২৫ সদস্যের জেলা কমিটিতে পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে