Views Bangladesh Logo

রাজবাড়ীর ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস থেকেই সহিংসতা: প্রেস সচিব

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় বুধবার রাতে গণপিটুনিতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাটি কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয় বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে—চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতির ফলেই এ ঘটনা ঘটে।

পাংশার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাজবাড়ীর পাংশা এলাকায় সংঘটিত এই দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা সরকারের নজরে এসেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক কোনো হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির ফল। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট, যিনি চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে তিনি নিহত হন।

সরকার জানায়, সম্রাটের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি ছিল।

পুলিশের বরাতে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি পাইপগানসহ আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, সরকার কোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতাকে সমর্থন করে না। ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ—দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যেকোনো অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ