দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ

ময়মনসিংহে পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস হত্যার প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)’ বাংলাদেশের হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভ চালায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সংঘর্ষে জড়ায়।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক’শ বিক্ষোভকারীকে বাধা দিতে ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের দিকে এগোতে চেষ্টা করে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। দ্য হিন্দু জানায়, তিন স্তরের ব্যারিকেড বসিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, একাধিক বিক্ষোভকারী দুই স্তরের ব্যারিকেড ভেঙে কূটনৈতিক স্থাপনার দিকে এগিয়ে যায়। তারা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেয়।

গত সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ও শিলিগুড়িতে ভিসা সেন্টারের সামনে বিক্ষোভের পর শিলিগুড়ি ও আগরতলায় ভিসা সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই দিন দিল্লিতে হাইকমিশনের ফটকে ভিসা সেবা সাময়িক স্থগিত করা হয়।

কলকাতায় তিন দফায় বিক্ষোভ হয়; এর একটিতে বিজেপি ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ‘হিন্দু সনাতনীরা’ অংশ নেন। পুলিশ বাধা দিলে ধস্তাধস্তিতে জড়ান। শিলিগুড়িতে ভিসা সেন্টারের সামনে বাংলাদেশের পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে এবং প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকায় আগুন দেয়।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, নয়াদিল্লি, কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ মিশনে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয়। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানানো হয় প্রণয় ভার্মার কাছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলা হয়।