চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে অধ্যক্ষকে মারধর, ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩ জনের মুচলেকায় মুক্তি
চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে চাঁদা না পেয়ে মব তৈরি করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে মারধর ও প্রতিষ্ঠানে তালা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী রায়হানুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে আটক করলেও পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৯ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন।
ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. আবদুল বাতেন চান্দগাঁওয়ের র্যাব-৭ কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত ‘ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ ও ফটিকছড়ির ‘গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’-এর অধ্যক্ষ। ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত যুবকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসনের কাজ করেন তিনি।
জানা গেছে, গত ৮ জুলাই রাত ১১টার দিকে অধ্যক্ষ বাতেনের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে রায়হানুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা। দাবি না মেটানোয় তাকে মারধর করে এবং প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। পরে উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, “রাতভর উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শেষ পর্যন্ত মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা লিখিতভাবে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটাবে না।”
এদিকে, থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বুধবার সকাল ও বিকালে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মচারীকে দুই দফা মারধরের অভিযোগও করেছেন অধ্যক্ষ বাতেন।
অধ্যক্ষ আবদুল বাতেন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। গত বছর ৩০ নভেম্বর র্যাব-৭ এর কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি। এবার তারা ছাত্রদল নেতাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা পোস্টার লাগানো, মানববন্ধন, হুমকি–সবই করছে। পুলিশও তাদের সামাল দিতে পারছে না। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
এ বিষয়ে ডিসি নর্থ আমিরুল ইসলাম বলেন, “অধ্যক্ষ দীর্ঘদিন ধরে থানায় অভিযোগ করে আসছেন। সংস্কার কাজেও বাধা দিচ্ছিল। মারধর, তালা লাগানোর ঘটনায় পুলিশ পাঠানো হলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। পরে আমি গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় আনি।”
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে