শিক্ষক আন্দোলনের মধ্যেও বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের

তিন দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর মধ্যেই সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। রোববার (৩০ নভেম্বর) অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) একে মোহাম্মদ সামছুল আহসানের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিটি সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা কার্যক্রম যেন বিনা ব্যর্থতায় অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষার সময় কোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ডাকে সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিষদের আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান জানান, আজকের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে তারা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা বাস্তবায়ন করবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পেলেও অধিকাংশ সহকারী শিক্ষক এখনো ১৩তম গ্রেডে থাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে গ্রেড উন্নীতকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন।

গত ৮–১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। ওই সময় পুলিশের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে সরকারের আশ্বাসে ক্লাসে ফিরলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না থাকায় তারা আবারও কর্মবিরতিতে ফিরে গেছেন।