Views Bangladesh Logo

ঢাকা–দিল্লির সাংস্কৃতিক বন্ধন তুলে ধরলেন প্রণয় ভার্মা

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক যোগসূত্রের কথা তুলে ধরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, দুই দেশের জনগোষ্ঠী বহু উৎসব-আনন্দ একসঙ্গে ভাগ করে নেয়। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জুড়ে দীপাবলি ব্যাপকভাবে উদ্‌যাপিত হয়। যা প্রায়শই কালীপূজার সঙ্গে মিলিত হয়ে ‘শ্যামা পূজা–দীপানিতা মহোৎসব’ নামে উদযাপিত হয়।

বুধবার ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ‘বিশ্বব্যাপী দীপাবলি’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রণয় ভার্মা বলেন, এই যৌথ ঐতিহ্য দুই দেশের গভীর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত বন্ধনের প্রতিফলন। তাঁর মতে, এসব উৎসব যুগের পর যুগ ধরে ঢাকা–দিল্লির বন্ধুত্বকে আরো দৃঢ় করেছে।

তিনি জানান, আলোর উৎসব দীপাবলি মানবতার সর্বজনীন মূল্যবোধ বহন করে—অশুভের ওপর শুভের জয়, অজ্ঞতা দূর করে জ্ঞানের আলো, আর হতাশাকে পেছনে ফেলে আশার পুনর্জাগরণ। এই মূল্যবোধ জাতি–ধর্ম–সংস্কৃতি অতিক্রম করে মানবতার সম্পদ হিসেবে কাজ করে।

ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আইজিসিসি) ‘বিশ্বব্যাপী দীপাবলি’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশন দীপাবলির নতুন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদ্‌যাপন করে। সম্প্রতি ইউনেস্কো দীপাবলিকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০২৫ সালের ১০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির লালকেল্লায় অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো আন্তঃসরকার কমিটির বৈঠকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

হাইকমিশনার বলেন, ইউনেস্কো স্বীকৃতি শুধু ভারতের নয়, বরং বিশ্বের কোটি মানুষের জন্য গর্বের বিষয়, যারা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে দীপাবলি উদ্‌যাপন করেন। তিনি আরও বলেন, “দীপাবলির এই বৈশ্বিক মর্যাদা আসলে এমন এক জীবন্ত ঐতিহ্যের স্বীকৃতি, যা মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য, অন্তর্ভুক্তি ও ঐক্যকে এগিয়ে নেয়।”

আইজিসিসির অনুষ্ঠানে দীপাবলিকে কেন্দ্র করে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা স্থান পায়, যা সীমান্ত অতিক্রম করে মানুষের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন আইসিসিআর বৃত্তিধারীরা, বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের সাবেক সদস্যরা, ভারতীয় কমিউনিটির সদস্য এবং নানা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ