Views Bangladesh Logo

৩২ নম্বর থেকে গ্রেপ্তার সেই রিকশাচালককে অব্যাহতির সুপারিশ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল দিতে গিয়ে পিটুনির শিকার ও পরে মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে মামলায় অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে পুলিশ। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গত এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক তৌহিদুর রহমান ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক বাসার জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ (এ) ধারায় গত ২৬ অক্টোবর পুলিশ এ প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে আদালত এখনো কোনো আদেশ দেননি।

তদন্তে প্রমাণ মেলেনি
অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত তদন্তে আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার নির্ভরযোগ্য কোনো সাক্ষ্য–প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ (এ) ধারায় আপাতত তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া সমীচীন। ভবিষ্যতে নতুন প্রমাণ পাওয়া গেলে পুলিশ আবার তাকে আসামি হিসেবে যুক্ত করতে পারবে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গেলে স্থানীয় লোকজনের হামলার শিকার হন আজিজুর। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন ও গোপন সূত্র থেকে ধারণা করা হয়েছিল যে তিনি আগের একটি অস্ত্র মামলার সঙ্গে জড়িত বা নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হতে পারেন।

থানায় নেওয়ার পর তার আচরণ ‘সাধারণ রিকশাচালকের মতো মনে হয়নি’—এমন মন্তব্যও করেছে পুলিশ। এছাড়া তার ফুলের তোড়ায় লেখা বার্তাও সন্দেহ বাড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তোড়ায় লেখা ছিল— ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে সাধারণ রিকশাওয়ালা হিসেবে সৎ উপার্জনের টাকা দিয়ে ফুল কিনেছি। আমি কোনো দল করি না, শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি।’

গ্রেপ্তার ও জামিন
১৫ আগস্ট আজিজুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৭ আগস্ট তিনি জামিন পান।

আজিজুরকে যে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল, সেটি করা হয় এ বছরের ২ এপ্রিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশের হামলায় মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন এবং দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ