আধ্যাত্মিক নেতা আগা খান আর নেই
বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং বিপুল সম্পদের জন্য পরিচিত আধ্যাত্মিক নেতা প্রিন্স করিম আগা খান মারা গেছেন। মঙ্গলবার পর্তুগালের লিসবনে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এক্স (পূর্বে টুইটার) এ খবর নিশ্চিত করেছে।
তার দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, তার মনোনীত উত্তরসূরির নাম পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।
শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম ছিলেন আগা খান। ঘোড়দৌড়ের জগতে তার সাফল্যের জন্যও তিনি খ্যাতি অর্জন করেন, যেখানে তার অন্যতম বিখ্যাত ঘোড়া ছিল শেরগার।
বহুমুখী ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন। ধারণা করা হয়, তার সম্পদের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। তার এই সম্পদ পারিবারিক উত্তরাধিকার, ঘোড়প্রজনন ব্যবসা এবং পর্যটন ও রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ থেকে এসেছে।
বাহামাসে একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ, ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি সুপার-ইয়ট এবং ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহারের মাধ্যমে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন আগা খান।
এ ছাড়াও ১৯৬৭ সালে আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি, যা বর্তমানে ৮০,০০০ কর্মী নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটি আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র অঞ্চলে স্কুল, হাসপাতাল এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন আগা খান। উদাহরণস্বরূপ, তিনি উগান্ডায় একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, একটি ব্যাংক এবং মাছ ধরার নেট তৈরির কারখানার মালিক ছিলেন।
অপরদিকে ব্যক্তিগত জীবন দুইবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আগা খান। ১৯৬৯ সালে তিনি ব্রিটিশ মডেল সারাহ ক্রোকার পুলকে বিয়ে করেন, যাদের সংসারে এক কন্যা ও দুই পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। তবে ১৯৯৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে ১৯৯৮ সালে তিনি জার্মান বংশোদ্ভূত গ্যাব্রিয়েল জু লেইনিঙ্গেনকে বিয়ে করেন এবং তাদের এক পুত্র সন্তান হয়। ২০১৪ সালে এই দাম্পত্য জীবনের সম্পর্কেরও সমাপ্তি ঘটে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে