Views Bangladesh Logo

বাংলাদেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না: আমীর খসরু

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আর সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না—তারা স্থিতিশীলতা চায়।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি আয়োজিত ‘প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, 'প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে, তবে কথায় কথায় রাস্তায় নামলে সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়। এখন যদি এক দল রাস্তায় নামে, আরেক দল তার প্রতিবাদে নামে, তাহলে সংঘর্ষ হবেই। আমরা কি শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি আবার সংঘর্ষমুখী রাজনীতি দেখার জন্য?'

যদিও তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি, তবে সাম্প্রতিক সময়ে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামীকে ঘিরেই তার এই মন্তব্য এসেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা। বিএনপি নেতারা জামায়াতের এসব কর্মসূচিকে নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

সংলাপে জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও উপস্থিত ছিলেন। তার পাশেই বসে আমীর খসরু বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো একধরনের ‘অবসেশন’-এ ভুগছে। কিছু রাজনীতিবিদের মধ্যে এমন মনোভাব তৈরি হয়েছে যে, নিজের দাবি বা দফার বাইরে কিছু মেনে নেওয়া যায় না।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে—যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তা মেনে চলাই উচিত। নতুন ইস্যু তৈরি করা মানে ঐকমত্যের প্রতি অসম্মান দেখানো। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য জরুরি।'

আমীর খসরু অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনকালে দেশে এক ধরনের স্বৈরাচারী মানসিকতা গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি, আমার চিন্তা বা দাবি ছাড়া কিছু গ্রহণযোগ্য নয়—এই মানসিকতা থেকেই রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।'

গণভোট প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, 'এই সরকার সংবিধানের ভিত্তিতে গঠিত। বর্তমান সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তবে সংসদে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংশোধনের পরই তা সম্ভব।'

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, 'অনেকে এসব ইস্যু তুলে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। এমনকি চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও নির্বাচনী প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।'

সংলাপটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো–প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খান। এতে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি সাদিক কায়েম। সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ