দুই দিনে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা বেড়েছে
পেঁয়াজের বাজার আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দুই দিনের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা, যা ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ উৎপাদন এলাকা থেকে পেঁয়াজ আসা কমে গেছে। তাদের ধারণা, “আমদানি হবে না” এমন খবরের কারণে মজুতদার ও কৃষকরা ধীরগতিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। এছাড়া, প্রতিবছর এই সময় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসে, কিন্তু এবার তা এখনও বাজারে পৌঁছায়নি। এসব কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে।
রাজধানীর মহাখালী, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। মাসখানেক আগে পেঁয়াজের দাম অস্থির হয়েছিল। তখন চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে প্রতিকেজিতে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা হয়ে যায়। সরকারের আমদানির অনুমতির পর দাম কিছুটা কমে ১০৫–১১০ টাকায় নেমে আসে। তবে ৪–৫ দিন ধরে দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
গত বুধবার খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১৫–১২০ টাকায়, কিন্তু গতকাল তা ১৪৫–১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ দুই দিনে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৩০–৩৫ টাকা। এক সপ্তাহে দাম বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪০ টাকা। তবে টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এখনও গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম ১০ শতাংশ কম।
কৃষি উপদেষ্টা জানান, পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং নতুন পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে আসবে। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে সরকারের এই পদক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছেন মজুতদাররা।
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হাসিবুল ইসলাম বলেন, “৩–৪ দিন আগে ১১০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলাম, এখন দোকানদার দাম চাচ্ছেন ১৫০ টাকা। সরকারের ন্যূনতম নজরদারি নেই, তাই তারা সুযোগ নিয়ে দাম বাড়াচ্ছে।”
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, ঢাকার বিভিন্ন জেলা থেকে পেঁয়াজ আসা এলাকায় দাম বেড়েছে। উৎপাদন এলাকা ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও পাবনার হাটে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছে ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা পর্যন্ত।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে