Views Bangladesh Logo

নির্বাচনে সাধারণ আসনে ৩৩% নারী প্রার্থী মনোনয়নের দাবি

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের সাধারণ আসনে নারী প্রার্থীদের অন্তত ৩৩ শতাংশ মনোনয়নের দাবি জানিয়েছে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তারা নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে দাবিগুলো তুলে ধরেন ফোরামের প্রতিনিধিরা।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন নারী পক্ষের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাদাফ সায, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত ও নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীল।

চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানা বলেন, বর্তমানে ভোটার তালিকায় নারীর সংখ্যা কম থাকা প্রমাণ করে, সমাজে নারীর নাগরিক মর্যাদা এখনো সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে অনেক দাবি ও প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা চাই নারীর সমান প্রতিনিধিত্ব স্থাপন হোক, নারী রাজনীতিবিদ এবং ভোটারদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি হোক।

তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যেই কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ভোটার তালিকায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কোড অফ কনডাক্ট প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা নারীর প্রতি সহিংসতা বা হয়রানি হলে নির্বাচন কমিশন এবং পার্টির মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মাহীন সুলতানা বলেন, কমিশন ২০৩০ সালের মধ্যে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ স্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যারা পার্টি এই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের হয়তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাদ দেয়া হবে।

আলোচনায় আরও উঠে এসেছে, আগামী নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের উৎসাহিত করতে রাজনৈতিক পার্টির সঙ্গে কীভাবে সমন্বয় করা যেতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে নারীদের জন্য তহবিল বরাদ্দ এবং নির্বাচনে নারীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সাইবার সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধের নীতি গ্রহণের প্রয়োজন।

মাহীন সুলতানা বলেন, সরাসরি নির্বাচনে সব সাধারণ আসনে ৩৩ শতাংশ নারীর মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, পরবর্তী সময়ে উপযুক্তভাবে মার্জিনালাইজড জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য পেশাজীবী নারীও পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে নারীর সমান রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের পথ সুগম হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামভুক্ত সংগঠনগুলো হলো- ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, গণসাক্ষরতা অভিযান, দুর্বার নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, নাগরিক কোয়ালিশন, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক), নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারী সংহতি, নারী পক্ষ, নারীর ডাকে রাজনীতি, ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (ফ্যাব), বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও ভয়েস ফর রিফর্ম।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ