সরকারি জমিতে ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ঢাকায় খিলগাঁওয়ে একটি অস্থায়ী মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি জমিতে অনুমতি ছাড়াই ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে, স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন জমিতে একটি অস্থায়ী মণ্ডপ নির্মাণ করেছিল, তবে তা নির্মাণের আগে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। পরবর্তীতে, শর্তসাপেক্ষে ওই মণ্ডপের জন্য অনুমতি দেয়া হয়, যা শুধুমাত্র পূজার সময়ের জন্য বৈধ ছিল; কিন্তু পূজা শেষ হওয়ার পরেও, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, সংগঠকরা মণ্ডপটি অপসারণ করতে অস্বীকার করেন এবং সেখানে ‘মহাকালী’ এর মূর্তি স্থাপন করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার চেষ্টা করেন।

একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও, সংগঠকরা রেলওয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, রেলওয়ে একটি প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেলপথের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা যেমন দোকান ও রাজনৈতিক অফিসগুলো অপসারণের আহ্বান জানায় যা রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল।

অবৈধ দখলকারীদের বারবার অবহেলার পর, ২৪-২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অপসারণের নির্দেশ দেয়। ২৬ জুন অভিযানটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় শ্রদ্ধার সঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। মণ্ডপ থেকে মূর্তিটি বালু নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করে যে, সরকারি জমি পুনরুদ্ধার একটি বৈধ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। সরকার সব ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেও, সরকারি জমিতে অবৈধ দখল ও নির্মাণ অনুমোদিত নয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, তারা সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মন্ত্রণালয় সবাইকে সতর্ক করে জানায়, তথ্য যাচাই না করে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত নয়।