কেউ কাউকে জায়গা করে দেয় না, জায়গা করে নিতে হয়
বাংলাদেশের খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার শিবলী মোহাম্মদ। ভারতের কত্থক কেন্দ্রে তিনি বীরজু মহারাজের অধীনে নৃত্যের ওপর তালিম নিয়েছিলেন৻ তিনি ব্যালে এবং সমসাময়িক নৃত্যের পাশাপাশি লন্ডন ব্যালে থিয়েটার স্কুলে এক বছরের জন্য ট্যাপ এবং জাজের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। শিবলী নৃত্যশিল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য অর্জন করেছেন একুশে পদকসহ অসংখ্য দেশি-বিদেশি পুরস্কার ও সম্মাননা।সম্প্রতি তার নৃত্যসাধনা, নৃত্যশিল্প ও পারিবারিক জীবন নিয়ে ভিউজ বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছেন তারই বাসভবনে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারজানা কবির ঐশী।
ভিউজ বাংলাদেশ: ভারতের কত্থক কেন্দ্র থেকে আপনি প্রথম নাচের ওপর তালিম নিয়েছিলেন৻ আমরা সেই অভিজ্ঞতার কথা দিয়ে সাক্ষাৎকার শুরু করতে চাই।
শিবলী মোহাম্মদ: আমি যখন ভারতে নৃত্য শিখতে যাই, একেবারেই ব-কলমই ছিলাম। নৃত্যের প্রতি কোনো ধারণাই ছিল না। ইন্ডিয়ান গভর্মেন্ট স্কলারশিপের জন্য এপ্লাই করি, লাকিলি আমি স্কলারশিপ পেয়ে যাই। তখন আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। চিন্তা করলাম-কী করা যায়। তখন আমার বড় ভাই সাদী মুহাম্মদ, সে শান্তি নিকেতনে পড়ছে। আমাকে বাড়ি থেকে বলল, তুমি ফিজিক্সে পড়, এখন তুমি যাবে নাচ করতে? বাংলাদেশে পুরুষ নাচ খুব একটা সমাজগৃহীত নয়, বাঁকা চোখে দেখে, কেন হঠাৎ পাগলামি করছো ইত্যাদি। তখন আমার মেঝ ভাই শামীম মোহাম্মদ তিনি ছিলেন হার্ট অব দ্য ফ্যামেলি। তিনি আমাকে সাপোর্ট দিলেন এবং আমার মা-কে বুঝালেন। আরেকটা সাপোর্ট পেয়েছিলাম আমাদের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টের কাদের স্যার অন্যান্য সব স্যার এবং আমার ক্লাসফ্রেন্ডরা প্রত্যেকে বলল, তুই যা।
স্যার বলল, তুমি যাও, টিউটরিয়ালগুলো দিবে যখন ছুটিতে আসবে। আর ফাইনাল পরীক্ষার সময় তুমি একটা ছুটি নিয়ে আসবে লম্বা সময়ের জন্য। এ আমি চলে গেলাম লক্ষ্ণৌ ভাতখণ্ডে মিউজিক কলেজে। ওখানে দেড়-দুবছর ছিলাম।
দেখলাম ওখানকার স্টান্ডারটা আমার জন্য না। এটা একেবারেই ছোটবেলা থেকে যারা নাচ শিখে তাদের জন্য। যেহেতু আমার স্কলারশিপের মেয়াদ খুবই অল্প। আমার গুরু শ্রীমতি পূর্ণিমা পান্ডে বললেন, তুমি এ চিঠিটা নিয়ে দিল্লিতে যাও। দিল্লিতে পণ্ডিত বিরজু মহারাজ আমার শ্রদ্ধেয় গুরু তিনি ওখানে কত্থক কেন্দ্রের সব। তখন চিঠিটা হাতে নিয়ে আমি গেলাম। ওনি চিঠিটা পড়লেন, ওনি অবাক হয়ে বললেন তুমি বাংলাদেশের? ওনার কাছে তখন বিশ্বের সব ছাত্ররা আছে। খালি বাংলাদেশের ওনার কোনো স্টুডেন্ট নাই। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে নিব; কিন্তু তুমি তো একেবারেই শিক্ষানবিশ। এখানে অ্যাডভান্স যারা তারা করে। তারপর আমি উনার হাতে-পায়ে ধরলাম। উনার পরম স্নেহের ছাত্রী শাশ্বতী সেন এখন যিনি তার জায়গাতে আছেন, তিনি বাংলাদেশের বরিশালের মেয়ে। তার একটা দুর্বলতা ছিল তাই বলল- গুরুজি, নিয়ে নেন ছেলেটাকে। দেখে মায়া লাগছে, মনে হয় ভালো করবে। যেহেতু চিঠিতে লিখেছে- হিজ ভেরি টেলেন্টেড। যা হোক, তিনি আমাকে নিলেন। এ আমার যাত্রা শুরু।’
ক্লাসের শুরুতে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল। আমার হোস্টেলের মেয়েরা বিশেষ করে আমার রাখি বোন মালতী আমাকে প্রচুর হেল্প করেছে। এত হেল্প করেছে যে, আমি এমন রেজাল্ট করতে এমন পরিশ্রম করতে লাগলাম যে পুরো কত্থক কেন্দ্রে রেকর্ড সৃষ্টি হয়ে গেল। ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্র্যাকটিস করতাম; কিন্তু আমি জানতাম না যে, আমার ফিউচারটা কী? ভাবতাম এত সুন্দর নাচের ফর্ম হতে পারে, নাচ এত অ্যাডভান্স হতে পারে। এর আগে কখনো আমি পুরুষের ক্লাসিক্যাল ড্যান্স দেখিনি। সত্যি দেখিনি। যখন আমি দেখলাম যে এত চমৎকার নাচে, তখন আমি লাগলাম পিছে। এভাবেই আমার যাত্রা শুরু।
ভিউজ বাংলাদেশ: বাংলাদেশে নতুন নাচের শিল্পীদের কেন অংশগ্রহণ বাড়ছে না- এ বিষয়ে কী বলবেন?
শিবলী মোহাম্মদ: একমত নই, প্রচুর অংশগ্রহণ হচ্ছে, এত এত নাচের অনুষ্ঠান। হাজার হাজার নৃত্যশিল্পী আছে বাংলাদেশে। আমাদেরই তো হাজার হাজার স্টুডেন্ট আছে। প্রশ্নটা হতে পারে- আপনাদের মতো নাম কেন হচ্ছে না? প্রতিনিয়ত আমাদের শুনতে হয়- আরেকটা শিবলী আরেকটা নিপা কি এ দেশে হবে না? এখানে আমার দুটো উত্তর আছে। আমি কাউকে খাটো করব না যে ওরা প্র্যাকটিস করে না। ওরা আমাদের মতো সাধনা করে না- এটাও না। দুটো জিনিস আমি বিশ্বাস করি, এক হলো স্টারডম-তারকাখ্যাতি যেটাকে বলে একেবারে মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া, এটার জন্য একটা ভাগ্য লাগে। স্রষ্টার কৃপা ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, আমরা যখন মানুষের অন্তরে ঢুকেছিলাম তখন বাংলাদেশে একটা চ্যানেল ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন। ওখানে যত বিশেষ প্রোগ্রাম মানে শিবলী-নিপা। নাচের অনুষ্ঠান, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এত দেখতে দেখতে আমার ফেসভ্যালু এমন চেনা হয়ে গেছে এখনো আমাদের রাস্তাঘাটে গেলে সবাই চিনতে পারে। এ জন্য বললাম যে, এত এত চ্যানেল, ভালো ভালো নাচ দিচ্ছে, ইউটিউবে নাচ দেখছে, স্কোপ অনেক বেড়ে গেছে; কিন্তু দর্শক কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবে, তারা তো দিশেহারা। যে জন্য আরেকটা স্টার তৈরি হয়নি আমাদের দেশে; কিন্তু আমাদের সময় তো আরও অনেক গুণী শিল্পী আছে। এখনো নাচের গুরু যারা ভালো ভালো। আমি কয়জনের নাম বলব, অনেক আছে অনেক।
ভিউজ বাংলাদেশ: অভিযোগ আছে সিনিয়র নৃত্যশিল্পীরা জুনিয়রদের স্থান ছেড়ে দিচ্ছে না, তাই নতুন করে বড়মাপের নৃত্যশিল্পী সৃষ্টি হচ্ছে না- এ বিষয়ে কী বলবেন?
শিবলী মোহাম্মদ: হা হা হা। আমাকে কি কেউ জায়গা করে দিয়েছে? কেউ কাউকে জায়গা করে দেয় না। জায়গা করে নিতে হয়। জায়গা নিজের হয়ে যায় নিজের যোগ্যতায়। কোনোদিনই জায়গা কেউ দখল করে রাখতে পারে না। এটা অনেক প্রবাহিত পানির মতো। পানিকে আটকে রাখা যায় না। একসময় উপচে পড়বে অথবা খুলে দিলে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। তোমার প্রতিভা থাকলে তোমাকে জুনিয়র-সিনিয়র কেউ আটকাতে পারবে না। আমাকেও কেউ জায়গা করে দেয়নি। আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছি।
ভিউজ বাংলাদেশ: দক্ষিণ এশিয়ায় নাচ কি এ অঞ্চলের সনাতন পুরুষালী ধারণা থেকে পুরুষ নৃত্যশিল্পীদের ভিন্ন করে দেয়?
শিবলী মোহাম্মদ: আসলে নৃত্যশিল্পটা একটু ভিন্ন স্বাদের। যেমন রান্না, মনে করা হয় মহিলাদের কাজ। ঠিক একইভাবে আমাদের এই উপমহাদেশের মানুষের ধারণা যে নাচ তো মেয়েদের কাজ। এটা যে বিশ্বমানের শিল্প, সেখানে দেখা যাচ্ছে- পুরুষরা অনেক বেশি স্কিলড-পরিশীলিত। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় নৃত্যশিল্পী পুরুষ। রন্ধনশিল্পেও যত বড় বড় শেপ আছে, কখনো দেখিনি কোনো খালাম্মাকে বিদেশের হোটেলে রান্না করতে। ওখানে পুরুষরা রান্না করে খাওয়াচ্ছে। কেউ যদি কৃষ্ণ বা গোপাল সাজে, ওখানে কপালে সুন্দর টিপ পরানো হচ্ছে, গোপালকে জুটি করিয়ে দেয়া হচ্ছে বা কৃষ্ণের লম্বা চুলে আছে, গোপীদের সঙ্গে খেলছে ইত্যাদি। নাচের তো জন্ম হিন্দু মিথলজি থেকে। এই উপমহাদেশে মুসলমানদের জন্য আলাদা কোনো নাচে আছে আমার মনে হয় না। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষের নাচটাকে সহজভাবে লোকে নিতে পারত না; কিন্তু এখন সেই কনসেপ্ট নাই। এখন পুরুষরা এত চমৎকার নাচে যে ছেলেমেয়ে কোনো ম্যাটার করে না। অবশ্যই একসময় ছিল।
ভিউজ বাংলাদেশ: আমরা জানি, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সব সড়ক রাজা-বাদশাদের নামে; কিন্তু ‘শহীদ সলিমউল্লাহ সড়ক’টি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সলিমউল্লাহর নামে? তিনি আপনাদের পিতা। পিতার নামে সড়ক দিয়ে যখন চলাচল করেন তখন কী অনুভূত হয়?
শিবলী মোহাম্মদ: বাবা হারিয়েছি। বাবার পর আমার স্টাগলিং। আমরা ছোট ছিলাম যা দিয়েছে তাই খেয়েছি। আমরা কখনোই খুব চাহিদাসম্পন্ন বাচ্চা ছিলাম না। আমরা জানি আমাদের বাবা নেই। আমাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমাদের বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। যখন আমরা অনেক স্ট্রাগল করে বড় হলাম, উপলদ্ধি করলাম রাস্তাটা একসময় কায়েদে আজম রোড ছিল এখন তা শহীদ সলিমুল্লাহ রোড, বাবার নামে। যখন যাই খুব ভালো লাগে; কিন্তু আবার মন খারাপও হয়। অনেক বাড়ি বা দোকানে সাইনবোর্ডে শুধু লেখা সলিমুল্লাহ রোড়, এখানে যদি শহীদ শব্দটা না দেয় তাহলে মানুষ কনফিউজড হবে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামে কি? অনেক বাড়িতে আবার শহীদ সলিমুল্লাহও দেখেছি তাদের প্রতি আমি হাত জোড় করে কৃতজ্ঞতা জানাই। যাদের বাড়িতে নেই তাদের হাত জোড় করেই অনুরোধ করব শহীদ শব্দটা দেয়ার জন্য। তাহলে বাবা সারাজীবন বেঁচে থাকবে না হয় তো বাবা হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি অহংকার-গর্ব হয় যে আমার বাবা কিছুটা হলেও তার আত্মত্যাগের কারণে স্বাধীনতা, মানচিত্র, পতাকা, পাসপোর্ট আমার আলাদা একটা আইডেন্টিটি আমি বাংলাদেশি- এই জায়গাটার জন্য ছোট এক বিন্দু রক্ত বাবার আছে। মনে হয় বাবাকে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই যে তুমি এটা করে গেছো বলেই আজকে আমাদের দেশটা স্বাধীন হয়েছে।
ভিউজ বাংলাদেশ: মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনাদের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হয়েছিল- সেই ভায়াল স্মৃতি সম্পর্কে যদি বলতেন।
শিবলী মোহাম্মদ: বলতে গেলে আমি নস্টালজিক হয়ে যাই। এটা ছিল ২৬ মার্চ জুম্মার নামাজের পর, ২৩ মার্চ পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে কিন্তু বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উড়েছিল। তখন অনেকগুলো হেলিকপ্টার এসে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় আর্মস গিয়েছে। কারণ টার্গেট ছিল। ২৫ তারিখে কালরাত্রি যখন শুরু হলো সব ঘিরে ফেলল, ব্লাকআউট হয়ে গেল, আমরা তখন ভাইবোনরা অনেক ছোট। আমরা যে পালাব সেই সুযোগটাই ছিল না। আমাদের বাসাটা ঘিরে ফেলল। জুম্মার নামাজের সময় আব্বা মসজিদে গেছেন, তখন মসজিদ থেকে একটা গুলির শব্দ হলো তারপর বললো এই বাড়িতেই গুলি করা হয়েছে। নিচ থেকে আগুন দিয়ে দিল আমরা তখন উপরেই ভয়ংকর একটা অবস্থা কে কীভাবে নেমেছি, মা দোতলা থেকে লাফ দিয়ে তার দুটো পা ভেঙে গিয়েছিল। চিকিৎসাবিহীন পা নিয়ে সে ছুটেছে। মালিশ করে কোনোরকম চলছিল। এটা দিয়ে তিনি যুদ্ধ করেছেন তার সন্তানকে মানুষ করার জন্য। তারপর যখন আম্মার বয়স হয়ে গেছে, তখন তাকে হুইল চেয়ারে চলে যেতে হয়েছে। আম্মার কোনোভাবেই হাঁটার শক্তি ছিল না; কিন্তু আব্বাকে জুম্মার নামাজের পর রাস্তায় মেরে ফেলল তখন আমাদের নিয়ে চলে যাচ্ছিল বিহারিদের একটি দল সেইফ করবে বলে। বড় ভাই, ছোট ভাই, মেঝ ভাই কে কোথায় কেউ বলতে পারব না। আমরা কয়েকটা বাচ্চা মুরগির পেছনে যেমন বাচ্চা দৌড়ায় ঠিক সেভাবে মায়ের পেছনে পেছনে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম দূর থেকে বাবার দেহটা পড়ে আছে রাস্তার পাশে। আমরা যেতে চাইলাম, বড় বোন আম্মা যেতে দিল না। তাকিয়ে দেখলাম, লাশ পড়ে আছে। যখন বাবার কথা মনে পড়ে ঘুরে ফিরে ওই দৃশ্যটা আমার বেশি মনে পড়ে যে বাবার লাশটা পড়ে আছে রাস্তায়, আমরা চলে যাচ্ছি এরকম কষ্টের বিষয়।
ভিউজ বাংলাদেশ: বাংলাদেশের নাচের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
শিবলী মোহাম্মদ: নাচের সার্বিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। অনেক ভালো। সারা দেশে নাচের যে চর্চা হয়- অবিশ্বাস্য। বিভিন্ন জেলায় ওয়ার্কশপে যাই, অবাক হই এত বাচ্চারা নাচ শিখে। মন দিয়ে যত্ন করে শিখে, ভালো করে। নাচের কোরিওগ্রাফি দেখে কত ভালো লাগে। অনেকের নাম ধরে ধরে বলা যায় যে, এরা এত ভালো ভালো কাজ করে তখন মনটা খুব ভরে যায় যে- না এদের সম্ভাবনা আছে।
ভিউজ বাংলাদেশ: তরুণ প্রজন্মকে নৃত্যের প্রতি আগ্রহী করতে কী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
শিবলী মোহাম্মদ: যারা নাচ শিখতে চায়, তারা এটাকে সাধনা হিসেবে নিতে পারে। এটা কেবল বিনোদনের জায়গা নয়। একেবারে প্রফেশনালিজম যদি তৈরি না হয় নিজেদের মধ্যে তা না করে সাধনা করে যদি না আগাতে চায়, ভালো শিল্পী হওয়া কোনোদিন সম্ভব না। ছোট বাচ্চাদের একটাই বলব যে, তোমরা নাচটা শিখো, সাধনা করো এবং একটা লক্ষ্যে পৌঁছাবার স্বপ্ন দেখো যে আমি এরকম একজন শিল্পী হব। ভালো শিল্পী হতে গেলে সাধনা করতে হবে। তবে তুমি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।
সাক্ষাৎকারটি অডিও থেকে লিখিত রূপ দিয়েছেন সম্পাদনা সহযোগী শাহাদাত হোসেন তৌহিদ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে