নির্বাচনে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না:  ইসি আব্দুর রহমানেল

নির্বাচনে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ভুল হতে পারে, তবে কোনো অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা জরুরি বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সঙ্গে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ‘নীতিমালা ২০২৫’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ। উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সাংবাদিকদের কাজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কমিশনার মাছউদ বলেন, আমরা চাই একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা অপরিহার্য। সাংবাদিকদের প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো বিবেচনা করে গণমাধ্যম, ইসি এবং জনগণের জন্য স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আস্থার সংকট এখন জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। আমরা ‘আমি ভালো, আপনি খারাপ’ এ ধরনের ধারা ছড়িয়ে দিতে পারি না। কমিশনের প্রথম কাজ হলো আস্থা পুনরুদ্ধার করা।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাংবাদিকদের নীতিমালা নিয়ে আরও আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করলে ভুলের সম্ভাবনা কমবে এবং ভালো নির্বাচন সম্ভব হবে।

সচিব আখতার আহমদ সাংবাদিকদের অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল প্রস্তাবিত নীতিমালা ইসির কাছে হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২৩ জুলাই ইসি সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা প্রকাশ করেছে। এতে ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার, গোপন কক্ষে ছবি তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকরা ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে, তবে প্রিজাইডিং অফিসারকে জানাতে হবে; সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ভেতরে থাকতে পারবে এবং সেখানে সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।

আরএফইডি নেতারা এসব বিধিনিষেধের বিরোধিতা করেছেন। তারা জানান, এতে সাংবাদিকদের অবাধ তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হবে এবং অনিয়ম প্রতিরোধে ইসির উদ্যোগ ব্যর্থ হতে পারে। তারা প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার বিধান বাদ দেওয়ার পাশাপাশি অন্তত পাঁচজন সাংবাদিককে একসাথে ভোটকক্ষে প্রবেশের সুযোগ ও সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে শাস্তির বিধান সংযোজনের দাবি করেছেন।