Views Bangladesh Logo

ইতিহাসে প্রথমবার বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানায়নি জামালপুর জেলা প্রশাসন

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জামালপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়নি। এতে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


প্রতিবছর এই দিনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া, শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।


এ ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই এটিকে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের প্রতি অবজ্ঞা বলে মন্তব্য করেছেন।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের জাতির মেরুদণ্ড। তাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা না জানানো অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


একজন শিক্ষক বলেন, আলোচনা সভা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো ন্যূনতম দায়িত্ব। এটা না হওয়ায় নতুন প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা যাবে।


তবে, জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা না হলেও বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে পৌর বিএনপি, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহরে মোমবাতি প্রজ্বলন ও গানে গানে আলোর মিছিল করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জামালপুর জেলা সংসদ। পরে দয়াময়ী এলাকায় ৭১-এর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো হয়।


এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইউসুপ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রোববার রাতে তিনি জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে যে নির্দেশনা পাওয়া গেছে সেভাবেই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ