জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার বাদ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’-এর গেজেটে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ২৬ জুন নির্বাচন কমিশনের উপসচিব দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহানের স্বাক্ষরিত এ গেজেট জারি করা হয়। গেজেট অনুযায়ী, নতুন নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির পরিবর্তে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই পদক্ষেপ নিয়েছিল কমিশন।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথম ইভিএম ব্যবহারের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, যেখানে বুয়েটের সহায়তায় পরীক্ষামূলকভাবে একটি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের কিছু নির্বাচনে সীমিত পরিসরে এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহৃত হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে প্রায় দেড় লাখ ইভিএম কিনলেও পাঁচ বছরের মধ্যেই প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে। পরে ইসি এসব মেশিন মেরামতের জন্য একটি প্রকল্প নিতে চাইলেও তৎকালীন সরকার তা অনুমোদন দেয়নি। চলতি বছর ইসি ইভিএম প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়।
এদিকে ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ইসির তিন কর্মকর্তাকে তলব করে তাদের বক্তব্যও নিয়েছে সংস্থাটি। এরইমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আইনি কাঠামো থেকে ইভিএম বাদ দেওয়ার পর এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও একই সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে