স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যেখানে কোটা ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নীতিমালায় জানানো হয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যান্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীন স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়।
নীতিমালায় আগের মতোই মোট ৬৩ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ রয়েছে। বিশেষ করে যারা কর্মসূত্রে অস্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকেন, তারা এ কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি তারিখে কমপক্ষে পাঁচ বছর এবং বছরের শেষ দিনে সর্বোচ্চ সাত বছর হতে হবে। অর্থাৎ জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮-এর মধ্যে হতে হবে। পরবর্তী শ্রেণির ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সময়কার নিয়ম অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করা হবে। বয়স যাচাইয়ের জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত ছাড় থাকবে।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ চলবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং প্রতি শাখায় সর্বোচ্চ ৫৫ জন শিক্ষার্থী রাখা যাবে। কোটা ব্যবস্থায় ক্যাচমেন্ট এরিয়ার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা অপরিবর্তিত আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য মোট ১ শতাংশ কোটা থাকলেও এবার এটি আলাদাভাবে ভাগ করা হয়েছে—মন্ত্রণালয়ের জন্য ০.৫ শতাংশ এবং অধীন দপ্তরগুলোর জন্য ০.৫ শতাংশ।
যমজ ও সহোদর কোটায় পরিবর্তন এনে যমজ কোটাকে গতবারের ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। অপরদিকে সহোদর কোটাকে ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। দুই কোটা এক দম্পতির সর্বোচ্চ তিন সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ আসন বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তরের কর্মীদের জন্য রাখা কোটা খুবই কম হলেও অনেকের মতে এটি প্রয়োজনীয় নয়। তিনি আরও বলেন, ক্যাচমেন্ট এরিয়া নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ আছে এবং নিয়ম কঠোরভাবে মানলে এ কোটার নেতিবাচক দিক কমে আসবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে