বই মুদ্রণে আন্তর্জাতিক দরপত্রের বিষয়টি অস্বীকার এনসিটিবির
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে—এমন খবর অস্বীকার করেছে। বোর্ড জানিয়েছে, ভ্রান্ত তথ্য দ্বারা জনসাধারণ ও গণমাধ্যম যেন বিভ্রান্ত না হয়।
রোববার এনসিটিবির সচিব অধ্যাপক মো. সাহতাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে যে আন্তর্জাতিক টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং এনসিটিবির অনুমোদিত নয়।
প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক টেন্ডারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা বাড়তে থাকায় এ ব্যাখ্যা আসে। রোববার দুপুরে মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা থাকলেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তা শুরু হয়নি। তবে অল্প কয়েকজন যুবককে ওই ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এনসিটিবি প্রধান কার্যালয় ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রধান ফটক বন্ধ করে বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শিক্ষাবিদরা জানিয়েছেন, এতদিন বাংলাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎপাদনের দায়িত্ব স্থানীয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোই পালন করে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য টেন্ডার উন্মুক্ত করার সাম্প্রতিক আলোচনা প্রকাশক ও শিল্পসংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র আপত্তি সৃষ্টি করেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে