নির্বাচনের পরও বিচার অব্যাহত রাখতে রোডম্যাপের দাবি নাহিদের
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, হত্যা, নির্যাতন ও গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচার যাতে জাতীয় নির্বাচনের পরও অব্যাহত থাকে, সেজন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ও আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি দিতে। বহুল আলোচিত জুলাই গণহত্যা মামলাকেও এ দাবির অন্তর্ভুক্ত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ বলেন, “যদি এই মামলার রায় হয়, তবে তা ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক মাইলফলক হবে; কিন্তু গত ১৫ বছরে অসংখ্য গণহত্যা, নির্যাতন ও গুমের ঘটনা ঘটেছে। এসব মামলার বিচার যেন রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে থেমে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব হবে প্রতিশ্রুতি দেয়া যে, নির্বাচন-পরবর্তী সময়েও এ ধরনের বিচারপ্রক্রিয়া বাধাহীনভাবে চলবে।
এদিন নাহিদ একজন সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির হলেও, দীর্ঘ জেরা চলায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে তিনি আদালতের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, সময়মতো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।”
অভিযুক্তদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। রায় ঘোষণার পর যে কোনো সরকারের আইনি দায়িত্ব হবে আসামিদের দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করা।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের দায় স্বীকার করেন। একই দিনে আইসিটি-১ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করে। মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে