Views Bangladesh Logo

চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের যুদ্ধবিরতি

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

চীনের উদ্যোগে আলোচনার পর মিয়ানমারের তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এতে চীনা সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েক মাস ধরে চলা তীব্র সংঘাত কিছুটা প্রশমিত হলো।

তাং জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহী সংগঠন টিএনএলএর সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি মিয়ানমারের সামরিক সরকারের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে দেশটিতে নির্বাচন শুরু হবে, আর তার আগে সেনারা আবারও বেশ কিছু অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, প্রধান বিরোধী দলগুলোকে বাদ দিয়ে আয়োজিত এই নির্বাচন আসলে সামরিক শাসনের বৈধতা প্রতিষ্ঠার কৌশল।

টিএনএলএ বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, সোমবার ও মঙ্গলবার চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে আলোচনার পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কুনমিং শহরটি মিয়ানমার সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে।

চীন মিয়ানমারের প্রধান বৈদেশিক মিত্র এবং সীমান্ত অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী অং সান সু চির সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। তবে সামরিক সরকার এখনো যুদ্ধবিরতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

টিএনএলএর দাবি, বুধবার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। বিদ্রোহীরা মোগোক (মূল্যবান রুবির খনি এলাকা) ও মোমেইক শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে, যদিও এর সময়সীমা নির্ধারিত হয়নি।

এর আগে, সেনা অভিযানের মুখে বিদ্রোহীরা নাওংখিও, কিয়াউকমি ও সিপাও—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়, যা মিয়ানমারের কেন্দ্র থেকে চীনের সংযোগকারী মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

চুক্তি অনুযায়ী, সেনাবাহিনী টিএনএলএর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় স্থল ও বিমান হামলা বন্ধ রাখবে।

টিএনএলএ ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর সদস্য, যার অন্য দুটি সংগঠন হলো মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি। তারা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়ে আসছে এবং সেনা অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থী প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ঢিলেঢালা জোটে রয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই জোট সীমান্তবর্তী এলাকায় উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করেছিল। কেবল টিএনএলএই ১২টি শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় তাদের অগ্রযাত্রা মন্থর হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে সেনারা লাশিও (এপ্রিল), নাওংখিও (জুলাই) এবং কিয়াউকমি ও সিপাও (অক্টোবর) শহরগুলো পুনর্দখল করে নেয়।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ