Views Bangladesh Logo

মুরাদনগরে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের জেরে নারী নির্যাতনের ঘটনা, ভিডিও ভাইরাল : র‍্যাব

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির পর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে পারিবারিক বিরোধই প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী শাহ পরান তার বড় ভাই ফজর আলীর সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে পুরো ঘটনা সাজিয়ে ছিলেন, যাতে ফজর আলীকে ফাঁসানো যায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, 'পূর্ব বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে শাহ পরান একটি সংঘবদ্ধ মব তৈরি করে ভুক্তভোগী নারী ও ফজর আলীকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির মাধ্যমে ঘটনাটি ঘটান এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।'

তিনি জানান, কুমিল্লার মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামের শহীদের বড় ছেলে ফজর আলী ও ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্যক্ত করে আসছিলেন। ঘটনার দুই মাস আগে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশে বড় ভাই ফজর আলী প্রকাশ্যে ছোট ভাই শাহ পরানকে মারধর করেন। এরপর থেকেই শাহ পরান প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন।

সালিশের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে সুদে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মা-বাবা বাড়িতে না থাকায় ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ২০ মিনিট পর শাহ পরান, আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজানসহ একই গ্রামের আরও ৮-১০ জন দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করে এবং মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

র‍্যাব জানায়, ঘটনার পর শাহ পরানসহ অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল পরিকল্পনাকারী শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা তিনি পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন।

র‍্যাব জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ