মুরাদনগরের নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানো শাহ পরাণ পাঁচদিনের রিমান্ডে
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণের পর তার অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মামলার প্রধান আসামি শাহ পরাণের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল হকের ১১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করে তাকে দশদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২৬ জুন রাতে মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ সময় স্থানীয়রা ধর্ষক ফজর আলীকে ধরে গণপিটুনি দেন। সেই সুযোগে শাহ পরাণসহ কয়েকজন ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। পরদিন ২৭ জুন ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
৩ জুলাই পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি শাহ পরাণকে বুড়িচং উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব । পরদিন তাকে মুরাদনগর থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ৫ জুলাই তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
শাহ পরাণ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই।
পর্নোগ্রাফি মামলাটির অন্য চার আসামি মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডে দু’জন স্বীকারোক্তি দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত কেউই জবানবন্দি দেননি। পরে তাদেরকেও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।
এদিকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গণপিটুনিতে তার হাত-পা ভেঙে যায়। পুলিশ জানায়, তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন এবং অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ হয়ে উঠতে কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগতে পারে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, আসামি সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে