Views Bangladesh Logo

শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

রকার বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশে উন্নীত করতে সম্মত হওয়ায় আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রজ্ঞাপন হাতে নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি, আগামীকাল থেকেই ক্লাসে ফিরে যাব।’

দীর্ঘ ১০ দিনের টানা আন্দোলনের পর এ সিদ্ধান্ত আসে। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী নভেম্বর মাস থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়ি ভাতা পাবেন। পরবর্তী ধাপে আগামী জুলাই থেকে এটি ১৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা হবে। চিকিৎসা ভাতা (১,৫০০ টাকা) ও উৎসব ভাতা (মূল বেতনের ৫০ শতাংশ) আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে।

অর্থ বিভাগ আরও জানায়, এই বাড়তি সুবিধার জন্য কোনো বকেয়া প্রযোজ্য হবে না। ভবিষ্যতে অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বিল অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। পাশাপাশি নিয়োগের ক্ষেত্রে এমপিও নীতিমালা ও সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে দুপুরে তিনি জোটের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন।

এই সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য এটি একটি বাস্তবসম্মত ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শিক্ষকরা সমাজ ও জাতি গঠনের মূল চালিকা শক্তি, অথচ তাদের বেতন-ভাতা দীর্ঘদিন ধরে অপ্রতুল ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সীমিত অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যেও আমরা শিক্ষকদের দাবির পক্ষে আছি। ভবিষ্যতে তাদের আরও সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘সরকার আমাদের কথা শুনেছে, আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করি, উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং বদলি প্রক্রিয়া চালুর বিষয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে।’

উল্লেখ্য, আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাতা পেতেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়, পরে ১৬ অক্টোবর মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাতে অসন্তুষ্ট হয়ে ১২ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। অবশেষে তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার তৃতীয় দফায় বাড়ি ভাতা ১৫ শতাংশে উন্নীত করল।

২০ শতাংশ বাড়ি ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে চলমান অনশন কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ