প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিলে আন্দোলন রাজপথে ছড়িয়ে পড়বে: ইশরাক
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া হলে বা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার বক্তব্য সংযত না করলে চলমান আন্দোলন নগর ভবনের গণ্ডি পেরিয়ে রাজপথে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক বলেন, ‘নগর ভবনে কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে শুধুমাত্র নাগরিক সেবা পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে। এটিকে সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকার বা আপস হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের কারণে জনসাধারণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আমি নিজে সোমবার থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছি, যাতে গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো পুনরায় শুরু হয়। এই পদক্ষেপ জনস্বার্থে নেয়া হয়েছে এবং এটি আমাদের দাবিতে আপস বা সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকারের ইঙ্গিত নয়।’
ইশরাক অভিযোগ করেন, ঈদুল আজহার পর নগর ভবনে নিয়মিত সেবা চালুর চেষ্টা সিনিয়র কর্মকর্তারা নিলেও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও সচিব তাদেরকে সেবা, যেমন-জন্ম, মৃত্যু, নাগরিকত্ব ও উত্তরাধিকার সনদ প্রদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এতে জনগণকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা থেকে বঞ্চিত করার এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর দোষ চাপানোর প্রচেষ্টা ছিল।
তিনি বলেন, ‘এর জবাবে আমরা জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে নগর ভবন এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছি। জনসেবায় বিঘ্ন না ঘটিয়ে আমাদের আন্দোলন নির্দিষ্ট এলাকায় ও সময়ে প্রতীকী আকারে চলছে।’
ইশরাক হোসেন আরও অভিযোগ করেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ঘনিষ্ঠ একদল দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে। হামলার নেতৃত্বদানকারী হিসেবে গোলাম কিবরিয়া রুবেলের নাম উল্লেখ করেন তিনি, যার বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ব্যক্তিদের কেউ কেউ বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করলেও তাদের দলে কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই। আসিফ মাহমুদ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে রুবেল কথিতভাবে দুর্নীতির হাতিয়ার হয়ে উঠেছেন এবং শুরু থেকেই প্রতিবাদকারীদের বিরোধিতা করে আসছেন।’
শেষে ইশরাক হোসেন সতর্ক করে বলেন, ‘আমি আসিফ মাহমুদকে তার বক্তব্যে সংযম দেখাতে এবং বর্তমান শান্ত পরিস্থিতি নষ্ট না করার আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া হলে আন্দোলন নগর ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি রাজপথে ছড়িয়ে পড়বে।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে