নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করে ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে কিছু রাজনৈতিক দল।
সোমবার (৭ জুলাই) সিলেটের পাঠানটুলায় সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ আয়োজন হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছি। ১৭ বছরের সংগ্রামের পর সরকারের পতন হয়েছে এবং শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু তার সহযোগীরা এখনো সচিবালয় থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রশাসনে রয়ে গেছেন। তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় থাকা আরেকটি পক্ষ নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ভোট ছাড়াই তাদের শাসন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে।
মির্জা আব্বাস ঘোষণা দেন, বিএনপি আবারও ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করবে।
নির্বাচন নিয়ে সরকারি আমলাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণকে সংগঠিত করে নির্বাচন নিশ্চিত করবে। প্রয়োজনে আমরা ভোটাধিকারের জন্য আরেকটি আন্দোলন শুরু করব।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে এক গভীর ষড়যন্ত্রে ফেলে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চাওয়া হয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, তাকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল এবং বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা স্বাভাবিক নয়।’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের অনেকেই এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নন এবং রাজনৈতিক দলগুলো বিভ্রান্তিকর বার্তা দিচ্ছে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘একই দল বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে—কখনো বলে নির্বাচন হবে, কখনো বলে হবে না, আবার কখনো পিআর পদ্ধতির কথা বলে যা অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।’
রাজনীতিবিদদের পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিচিত পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে