নতুন বিধিমালায় নির্বাচনে শব্দ নিয়ন্ত্রণ
নীরব এলাকায় মাইক-লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ
দেশে ক্রমবর্ধমান শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার নতুন বিধিমালা জারি করেছে। ২০০৬ সালের পুরাতন বিধিমালা বাতিল করে এবার এলাকাভিত্তিক শব্দমাত্রা, হর্ন ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতা এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় উপাসনালয়, জাতীয় অনুষ্ঠান, প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাপ্তরিক কার্যক্রম, আকাশযান ও রেলপথের ক্ষেত্রে এই বিধিমালা প্রযোজ্য হবে না। নির্বাচনের সময় নীরব এলাকায় কোনো প্রার্থী মাইক, লাউড স্পিকার বা শব্দবর্ধক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। অন্য এলাকায় নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে এবং অনুমোদিত শব্দসীমা অতিক্রম করা যাবে না।
ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দেড় লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে। বিধিমালায় দিনের সময় ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা এবং রাতের সময় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনি প্রচারে বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। নীরব এলাকায় মাইক ও লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। অন্য এলাকায় এক প্রার্থী বা তার পক্ষের কেউ একই এলাকায় তিনটির বেশি মাইক বা লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে পারবে না। নির্বাচনি প্রচার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। শব্দমাত্রা ৬০ ডেসিবেলের বেশি হতে পারবে না। এছাড়া ভোটের তিন সপ্তাহ আগে প্রচার শুরু করা যাবে না এবং ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে