ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা এনেছে: ১২ দলীয় জোট

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠককে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ১২ দলীয় জোট।

শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে জোট নেতারা এই বৈঠককে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে একটি মাইলফলক এবং জাতির জন্য আশার প্রতীক বলে উল্লেখ করেছেন।

তারা বলেন, আসন্ন রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করে জনগণের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।

বিবৃতিতে ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানানো হয়, কারণ তিনি পূর্বে আলোচিত এপ্রিল মাসের সময়সূচি থেকে সরে এসে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতে জরুরি সংস্কার ও বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এই পদক্ষেপকে জোট বলেছে, তা জাতির আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সময়মতো নির্বাচনের পথ সুগম করে।

নেতারা বলেন, “আমরা আশা করি আজকের এই বৈঠক কেবল প্রতীকী পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমরা সংস্কার ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের মধ্যে সদিচ্ছা ও সমঝোতা শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র, বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষের বিজয় নিশ্চিত করবে।”

এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপি চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাজাতিয়া পার্টির চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মোহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগ্রেসিভ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন এবং নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।